দেবাঞ্জন দেব। —ফাইল চিত্র।
টিকাকরণের জন্য কসবায় ভুয়ো শিবিরের অন্যতম পাণ্ডা দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে ফের নয়া প্রতারণার অভিযোগ। পুলিশের দাবি, স্টকিস্টদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক কিনলেও তাঁদের বকেয়া টাকা মেটায়নি দেবাঞ্জন। দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে আগেই একাধিক অভিযোগ ছিল। এ বার এই নতুন অভিযোগে সোমবার তার বিরুদ্ধে হেয়ার স্ট্রিট থানায় একটি কেস দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশের কাছে অভিযোগ, স্টকিস্টদের কাছ থেকে মোট ১ কোটি ২ লক্ষ টাকার হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক কিনলেও তাঁদের সে টাকা দেয়নি দেবাঞ্জন। তবে এই বিপুল পরিমাণ স্যানিটাইজার, মাস্ক স্টকিস্টরা কেন দেবাঞ্জনকে দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কসবায় টিকা-কাণ্ডের পর থেকে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। নিজেকে রাজ্য সরকারের আমলা হিসাবে পরিচয় দেওয়া দেবাঞ্জন কেন্দ্রের নাম নিয়েও প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্ক লেনদেনে জালিয়াতিরও অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশের দাবি, ২০২০ সাল থেকে দেবাঞ্জনের সবক’টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। অভিযোগ, ভুয়ো নথিপত্র দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিল সে। রবিবার সে বিষয়ে কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তাঁদের মধ্য়ে কয়েক জন অর্থের বিনিময়ে দেবাঞ্জনের কাছে চাকরি করছেন বলেও অভিযোগ। সোমবার মোট ১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
আপাতত ২ জুলাই পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রয়েছে দেবাঞ্জন ও তার ৩ সহযোগী সুশান্ত দাস, রবিন শিকদার এবং শান্তনু মান্না। পুলিশ জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের সময় দেবাঞ্জন যে সমস্ত দাবি করেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।