মনসুখ হিরেন। ছবি: সংগৃহীত।
মনসুখ হিরেন রহস্যমৃত্যু-কাণ্ডে মুম্বই পুলিশের এক কনস্টেবল-সহ ২ জনকে রবিবার গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)। একটি ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় অভিযুক্ত ওই কনস্টেবলকে ২০১৩ সালে সাসপেন্ড করেছিল মুম্বইয়ের দায়রা আদালত। ওই মামলায় প্যারোলে ছিলেন তিনি। মুম্বই পুলিশের ‘এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট’ সচিন ওয়াজের এনকাউন্টর টিমের সক্রিয় সদস্য ছিলেন ওই কনস্টেবল।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত কনস্টেবল বিনায়ক শিন্দে অতিমারির সময় থেকেই ছুটিতে ছিলেন। এটিএসের দাবি, অম্বানীর বাড়ির সামনে বিস্ফোরক ভর্তি যে গাড়ি রাখা ছিল, তার মালিক মনসুখ হিরেনের মৃত্যু কাণ্ডে ধৃত পুলিশকর্তা সচিন ওয়াজের এনকাউন্টার দলের সদস্য ছিলেন বিনায়ক। ৫৫ বছরের বিনায়কের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ১১ নভেম্বর কুখ্যাত গ্যাংস্টার রামনারায়ণ গুপ্ত ওরফে লখন ভাইয়াকে ভুয়ো এনকাউন্টারে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। ওই ২১ জনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দিয়েছিল মুম্বইয়ের এক দায়রা আদালত। তার মধ্যে মুম্বই পুলিশের ১৩ কর্মী এবং এক আধিকারিকও ছিল। বিনায়কও তাদের এক জন। বিনায়ক ছাড়াও ৩১ বছরের বুকি নরেশ ধারেকেও রবিবার গ্রেফতার করেছে এটিএস।
এটিএসের তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর মুম্বইয়ের বাড়ি ‘অ্যান্টিলা’-র কাছে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় বৃহস্পতিবার মুম্বই পুলিশের এক ইনস্পেক্টরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর পরেই বিনায়ক এবং নরেশকে জেরার আটক করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, মনসুখ-কাণ্ডের তদন্তভার ইতিমধ্যেই এটিএসের হাত থেকে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে দেওয়া হয়েছে। তবে এনআইএ কবে এই মামলার তদন্ত শুরু করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।