High court Justice

নির্যাতিতার পরিবারকে হুমকি, হাথরস মামলা অন্যত্র সরানোর ভাবনা ইলাহাবাদ হাইকোর্টের

পরিবার ও আইনজীবীর সুরক্ষার খাতিরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত। হাথরস ধর্ষণের মামলায় বিশেষ নজরদারি রেখেছে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২১ ১২:৫১
Share:

ফাইল চিত্র।

পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ থেকে হাথরস মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা ইলাহাবাদ হাইকোর্টের। নির্যাতিতার পরিবার ও আইনজীবীর সুরক্ষার খাতিরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে জানিয়েছে আদালত। হাথরসে ২০ বছরের মহিলাকে ধর্ষণের মামলায় বিশেষ নজরদারি রেখেছে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ। সেখানেই নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হলফনামা দাখিল করা হয়। হলফনামায় বলা হয়, নির্যাতিতার পরিবার ও আইনজীবী সীমা কুশওয়াকে নানারকম হুমকি ও হেনস্থার সামনে পড়তে হচ্ছে। সেই কারণেই মামলা সরিয়ে নেওয়া হোক।

Advertisement

Advertisement

৫ মার্চ মামলার শুনানি চলাকালীন একটি ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতার ভাইয়ের অভিযোগ, ওই দিন হাথরস জেলা আদালতের মামলার শুনানি চলাকালীন তরুণ হরি নামে এক আইনজীবী মদ্যপ অবস্থায় আদালক কক্ষের মধ্যে প্রবেশ করেন। ক্রমাগত নির্যাতিতার আইনজীবী ও পরিবারকে নানারকম হুমকি দিতে থাকেন। তারপর আইনজীবীদের একটি দলও আদালত কক্ষে প্রবেশ করে অভিযোগকারী ও তাঁদের পরিবারকে নানারকম হুমকি দিতে থাকে। বলা হয়, মামলা নিয়ে বেশিদূর গেলে ফল ভাল হবে না।

হলফনামায় এই ঘটনার কথাই বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন নির্যাতিতার ভাই। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই আদালত ৫ মার্চের ঘটনার একটি বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ এড়িয়ে আদালত কক্ষে একজন মদ্যপ ঢুকে কেন হুমকি দিচ্ছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আদালত জানিয়েছে, এরপর থেকে আদালত কক্ষে অভিযোগকারী ও তাঁদের আইনজীবীকে যেন আলাদা করে নিরাপত্তা দেয় পুলিশ।

গত বছর সেপ্টেম্বরে এক দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। পরিবারের হাতে দেহ না দিয়েই তড়িঘড়ি রাতের অন্ধকারে দেহ সৎকার করে পুলিশ। সিবিআই ঘটনার তদন্তভার নিয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজু করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement