যুবককে খুনের অভিযোগ প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।
বিচ্ছেদের পর স্বামীকে খুনের অভিযোগ প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, খুনের পর যুবকের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছেন তিনি। তার পর দেহাংশগুলি পুঁতে দিয়েছেন বালির ভিতর।
ঘটনাটি তামিলনাড়ুর পুটুকোট্টই এলাকার। মৃতের নাম জেয়ানধন। তিনি চেন্নাই বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড স্টাফ হিসাবে কাজ করতেন। স্ত্রী ভাগ্যলক্ষ্মীর সঙ্গে আগেই বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। নানগানাল্লুরে বোনের সঙ্গে থাকতেন যুবক।
অভিযোগ, গত ১৮ মার্চ দেশের বাড়ি যাচ্ছেন বলে বোনের বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন যুবক। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছননি। তাঁর আর কোনও খোঁজও পাননি বোন। মোবাইলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। খোঁজাখুঁজির পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়।
এর পরেই যুবকের সন্ধানে তদন্তে নামে পুলিশ। তারা যুবকের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে প্রাক্তন স্ত্রীর খোঁজ পায়। মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর সঙ্গে তাঁর এক বান্ধবীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি জেরার মুখে ভাগ্যলক্ষ্মী স্বীকার করে নিয়েছেন, তিনিই যুবককে খুন করেছেন।
ধৃত মহিলা পুলিশকে জানান, কোবলমে সমুদ্রের ধারে এক জায়গায় বালির নীচে স্বামীর দেহাংশ তিনি পুঁতে দিয়েছেন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন তাঁর বান্ধবী। তবে যুবকের দেহাংশ এখনও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, কেন প্রাক্তন স্বামীকে খুন করেছেন, তার জবাব দিয়েছেন ভাগ্যলক্ষ্মী। তিনি পেশায় যৌনকর্মী ছিলেন। বহু বছর আগে জেয়ানধনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। ২০২০ সালে বিয়ের পর ২১ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের।
অভিযোগ, ১৯ মার্চ যুবক প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন। সেখানে কোনও বিষয়কে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে বচসা হয়। তারই পরিণতিতে এই নৃশংস খুন।