—প্রতীকী চিত্র।
ভিন্জাতের যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন কন্যা। বাড়ি থেকে পালিয়েও গিয়েছিলেন প্রেমিকের সঙ্গে। পুলিশ তাঁকে আবার ধরে আনে। তার পরেই কন্যাকে শ্বাসরুদ্ধ করে খুন করলেন বাবা। থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণও করলেন।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের। অভিযুক্তের নাম রাধাকিষাণ। তাঁর কন্যার বয়স ১৮। মাস ছয়েক আগে তরুণী তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর বাবা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তরুণীর খোঁজ শুরু করে। পুলিশ জানতে পারে, ভিন্জাতের যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ওই তরুণীর। সেই কারণেই এই সম্পর্ক তাঁর বাবা মেনে নিতে পারছেন না।
তরুণীর খোঁজে বিভিন্ন রাজ্যে তল্লাশি চালায় পুলিশ। গত ১৪ অগস্ট রাজস্থানের উদয়পুর থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে বাবার হাতে তুলে দেন তদন্তকারীরা। অভিযোগ, এর পরেই আবার অশান্তি শুরু হয় ওই বাড়িতে।
তরুণীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, ফিরে আসার পর কন্যাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন অভিযুক্ত। স্বজাতে বিয়ে দেওয়ার তোড়জোড়ও শুরু করেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই তরুণীকে রাজি করাতে পারেননি। উল্টে বিয়ের কথা শুনে আবার বাড়ি থেকে পালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই কন্যাকে আক্রমণ করেন অভিযুক্ত। একটি তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে ধরেন তাঁর গলা। তরুণীর মা এবং বাড়ির অন্যান্যরা তাঁকে বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুতেই তোয়ালে ছাড়াতে পারেননি। একসময় তরুণী নিস্তেজ হয়ে পড়েন। তার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। কিন্তু তরুণীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।