বাড়িতে মঞ্জুকে একা পেয়ে তাঁর সঙ্গে অশান্তি শুরু করেন সুনীল। প্রতীকী ছবি।
মাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার এক যুবক। বারণ করা সত্ত্বেও মা বিয়েবাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুনে ছুরি দিয়ে পর পর আশি বার কুপিয়ে মারেন অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি রাজস্থানের ভিলওয়াড়া জেলায় ঘটে। অভিযুক্তের নাম সুনীল। মৃতার নাম মঞ্জু (৪৬)।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫ বছর বয়সি সুনীল কম্পিউটার সংক্রান্ত একটি বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর বাড়িতেই থাকতেন তিনি। সুনীল কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত নন বলে জানায় রাজস্থান পুলিশ। সুনীলের বাবা শংকর লাল পেশায় কৃষক। ঘটনার সময় বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না শংকর। বাজারে দরকারি কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। বাড়িতে মঞ্জুকে একা পেয়ে তাঁর সঙ্গে অশান্তি শুরু করেন সুনীল।
সুনীল জানতে পারেন যে, বিয়েবাড়ি যাবেন বলে নিজের ভাইয়ের বাড়ি যাচ্ছেন মঞ্জু। ব্যাগপত্র গোছানোও শুরু করে দিয়েছেন তিনি। মঞ্জুকে বিয়েবাড়ি যেতে বাধা দিলেও সুনীলের কথায় কান দেন না মঞ্জু। দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। দু’পক্ষের অশান্তি বৃদ্ধি পেতে থাকায় রাগের বশে ছুরি দিয়ে মঞ্জুকে হামলা করেন সুনীল।
পর পর আশি বার মঞ্জুকে কুপিয়ে মারেন সুনীল। পুলিশ সূত্রে খবর, মঞ্জুকে খুন করার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান সুনীল। তল্লাশি চালানোর পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন অভিযুক্ত। শুক্রবার তাঁকে আদালতেও পেশ করা হয়। যে ছুরি দিয়ে মঞ্জুকে হত্যা করা হয়েছিল, তা পুলিশ উদ্ধার করেছে। এখনও খুনের তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে রাজস্থান পুলিশ।