সেলুনে মনু রাইয়ের মাথা লক্ষ্য করে গুলি শ্বশুর সুনীলের। ছবি সৌজন্য টুইটার।
সেলুনে দাড়ি কাটাচ্ছিলেন জামাই। সেখানে ঢুকে মাথায় গুলি করে, থেঁতলে খুন করার অভিযোগ উঠল শ্বশুর এবং শ্যালকের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের বক্সার জেলার ডুমরাওয়ান গ্রামে। ভয়ঙ্কর সেই দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মনু রাই। দুই অভিযুক্ত হলেন মনুর শ্বশুর সুনীল পাঠক এবং তাঁর ছেলে ধনু পাঠক। বছরখানেক আগে বাড়ির অমতে মনুকে বিয়ে করেন সুনীলের মেয়ে। অন্য জাতে মেয়ে বিয়ে করায় মনুর উপর আক্রোশ ছিল সুনীলের। সেই আক্রোশ থেকেই জামাই মনুকে খুন করেন সুনীল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, এটা ‘সম্মানরক্ষার্থে’ খুন।
রবিবার সেলুনে দাড়ি কাটাচ্ছিলেন মনু। হঠাৎই সেখানে আসেন সুনীল এবং তাঁর ছেলে ধনু। মনু তখন দাড়ি কাটানোয় ব্যস্ত। রবিবার হওয়ায় দোকানে একটু ভিড়ও ছিল। হঠাৎই বন্দুক বার করে মনুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালান এক জন। সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গালের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। গুলির আওয়াজ শুনে মনু দেখেন তাঁর পাশে সাক্ষাৎ যমের মতো দাঁড়িয়ে শ্বশুর এবং শ্যালক। তাঁদের দেখে পালানোর চেষ্টা করেন মনু। কিন্তু হাতের সামনে থাকা ক্ষুর দিয়ে তাঁকে আঘাত করেন ধনু। তার পর তাঁরা টানতে টানতে মনুকে পাশের ঘরে নিয়ে যান। সেই ঘরে ঢুকে মনুর মাথা লক্ষ্য করে পর পর কয়েকটা গুলি চালানো হয়। মনু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর মাথায় বন্দুক দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করা হয়। পা দিয়ে মাথায়, মুখে, বুকে লাথি মারতে দেখা যায় সুনীল এবং ধনুকে। মনুর মৃত্যু হওয়ার পরও তাঁকে আঘাত করতে দেখা যায়। তার পর দোকান থেকে বেরিয়ে পুলিশ সুপারকে ফোন করেন সুনীল। ছেলে-সহ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
গোটা ঘটনাটি সেলুনের সিসিটিভিতে বন্দি হয়েছে। শিউরে ওঠা সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সুনীল এক জন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী। সুনীল এবং তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বন্দুক দু’টিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।