ছবি: শাটারস্টক।
উনুন থেকে নামিয়ে ফুটন্ত সম্বর স্ত্রীর গায়ে ঢেলে দিলেন স্বামী। তবে তাতেও তাঁর রাগ মিটল না। ফুটন্ত তরল গায়ে পড়ে যখন যন্ত্রণায় ছটফট করছেন স্ত্রী, তখন রাগে বাহ্যজ্ঞানহীন স্বামী আবার ছুটে গেলেন রান্নাঘরে। এ বার নিয়ে এলেন ধারালো ছুরি। হয়তো স্ত্রীকে কুপিয়েও দিতেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা ছুটে আসায় রণে ভঙ্গ দিলেন। পালালেন এলাকা ছেড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে।
পুলিশ জানিয়েছে ওই মহিলার বয়স ৪০। আর তাঁর স্বামী সইয়দ মৌলার বয়স ৪৮। সইয়দ এক জন ব্যবসায়ী। বিদ্যুৎচালিত দ্রব্য যেমন আলো, পাখা, স্যুইচ বোর্ড, ইত্যাদির একটি দোকান আছে তাঁর। এ ছাড়া তিনি বিদ্যুৎ সংক্রান্ত ছোট খাট কাজও করে থাকেন। গত ২১ নভেম্বর রাত ৯টা নাগাদ সইয়দ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পর তাঁকে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে একটি বিদ্যুতের কাজ করে দিতে বলেন সইয়দের স্ত্রী। তাই নিয়েই অশান্তি শুরু হয় দু’জনের মধ্যে।
পুলিশকে সইয়দের স্ত্রী বলেছেন, প্রতিবেশী এক বৃদ্ধ দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁকে বলে আসছেন ওই কাজের কথা। কিন্তু স্বামীকে সে কথা বলার পরই তিনি ওই বৃদ্ধের উপর চোটপাট শুরু করেন। সইয়দের এই আচরণে কিছুটা বিরক্ত হয়েই তাঁকে পাল্টা কথা শোনান স্ত্রী। সইয়দকে বলেন, কাজটা করলে কিছু অর্থ আসবে হাতে। তা দিয়ে অন্তত বাড়ির বকেয়া ভাড়া মেটানো যাবে। স্ত্রীর এই পাল্টা জবাব শুনেই ক্ষিপ্ত সইয়দ তাঁকে মারধর শুরু করেন। অশান্তি বাড়লে আচমকাই রান্নাঘর উনুনে বসানো কড়া থেকে ফুটন্ত সম্বর নামিয়ে ছুঁড়ে দেন স্ত্রীর শরীরে। পুড়ে যায় মহিলার পেট, উরু এবং বুকের কিছু অংশ।
গোটা ঘটনাটিই ঘটেছিল প্রতিবেশীদের চোখের সামনে। তাঁরা সইয়দকে বাধাও দেন। চিৎকার করেন। কিন্তু এর পর তিনি ছুরি নিয়ে আসায় তাঁকে তেড়ে যান প্রতিবেশীরা। ভয় পেয়েই পালান সইয়দ। পুলিশ তাকে খুঁজছে। অন্য দিকে, সইয়েদর স্ত্রীর চিকিৎসা শুরু হয়েছে হাসপাতালে। তিনি আপাতত সঙ্কটমুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।