এই সেই যুবক! ছবি: সংগৃহীত।
সর্বত্র নিজেকে সেনার অকুতোভয় ক্যাপ্টেন হিসাবে পরিচয় দিতেন বছর চল্লিশের যুবক! তাতেই প্রেমে পড়ে যেতেন কেউ কেউ। সম্পর্ক পাতানোর মাসখানেক পর শুরু হত নানা অজুহাতে টাকা চাওয়া। ‘প্রেমিকা’রা সাধ্যমতো টাকা দিয়েও দিতেন। দিনে দিনে বাড়ত টাকার অঙ্ক। তার পর এক পর্যায়ে বড় অঙ্কের টাকা হাতে পেয়ে উধাও হয়ে যেতেন ‘ক্যাপ্টেন’! সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে ঘটনাটি ঘটেছে। লখনউ থেকে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম হায়দর আলি বেগ। পেশায় নিরাপত্তারক্ষী। ৪০ বছর বয়সি ওই যুবক ওড়িশার বালেশ্বরের বাসিন্দা। যদিও সমাজমাধ্যমে নিজেকে হার্তিক বলেই পরিচয় দিতেন হায়দর। এই নামে একাধিক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টও ছিল হায়দরের। অ্যাকাউন্টে সেনাবাহিনীর পোশাক পরা বেশ কয়েকটি ছবিও ছিল তাঁর। ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে একাধিক মহিলার সঙ্গে হায়দরের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রত্যেকের কাছেই নিজেকে সেনার ‘ক্যাপ্টেন’ হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।
লখনউ পুলিশের আধিকারিক নিপুণ আগরওয়াল জানিয়েছেন, সম্পর্ক শুরুর কয়েক মাস পর থেকেই শুরু হত নানা অজুহাতে টাকা চাওয়া। কখনও পরিজনের অসুস্থতা, কখনও গাড়ির ঋণ শোধ করতে না পারা, নানা কারণ দেখিয়ে ‘প্রেমিকা’দের থেকে টাকা চাইতেন হায়দর। তার পর এক পর্যায়ে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে চম্পট দিতেন। এ ভাবেই দিব্যি চলছিল। কিন্তু সম্প্রতি হায়দারের কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হয় লখনউের এক মহিলার। থানায় অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। তার পরেই প্রকাশ্যে আসে হায়দারের কীর্তি! জেরায় চার ‘প্রেমিকা’র সঙ্গে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন ধৃত। তবে ওই যুবক আরও কাউকে একই ভাবে ফাঁসিয়েছেন কি না, তা জানতে তদন্ত চলছে।