Maharashtra Honour Killing

‘সম্মানরক্ষার্থে’ খুন! মহারাষ্ট্রে পাহাড়ে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে বোনকে খাদে ধাক্কা তুতো ভাইয়ের

মৃতার ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওয়ালুজ পুলিশের ইন্সপেক্টর কৃষ্ণা শিন্ডে জানিয়েছেন, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। জানিয়েছেন, পরিবারের সম্মান বাঁচাতে খুন করেছেন বোনকে!

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪৫
Share:
এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে।

এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মরাঠি ছবি ‘সাইরাট’-এ ভিন্ন বর্ণের ছেলের সঙ্গে প্রেম করার ‘অপরাধে’ পরিবারের হাতে খুন হতে হয়েছিল ছবির মূল চরিত্র অর্চনাকে। সেই মহারাষ্ট্রেই পরিবারের ‘সম্মানরক্ষার্থে’ ১৭ বছরের বোনকে পাহাড় থেকে ধাক্কা দিয়ে খাদে ফেলে দিলেন খুড়তুতো ভাই। সোমবার ছত্রপতি সম্ভাজিনগর (সাবেক ঔরঙ্গাবাদ) জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতার ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত তরুণীর নাম নম্রতা শেরকার (১৭)। ওই তরুণী পার্শ্ববর্তী জালনা জেলার অমবড় তালুকের শাহাগড়ের বাসিন্দা ছিলেন। সম্প্রতি এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল নম্রতার। বাড়িতে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সম্পর্ক ভাঙার জন্য পরিজনেরা নম্রতাকে চাপ দিতে শুরু করেন। পারিবারিক অশান্তি চরমে পৌঁছলে এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছাড়েন তিনি। শাহাগড় থানায় পরিজনদের থেকে নিরাপত্তা চেয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করেছিলেন ওই তরুণী।

এর পরেই নম্রতাকে খুনের ছক কষেন পরিজনেরা। কথা বলে ‘মীমাংসা’ করার অজুহাতে মেয়েকে সম্ভাজিনগরে মামার বাড়িতে পাঠান বাবা-মা। নম্রতা সেখানে পৌঁছলে তাঁকে ফোন করেন খুড়তুতো ভাই ঋষীকেশ। জানান, প্রেমিককে মেনে নিতে রাজি, তবে তার আগে বোনের সঙ্গে এক বার কথা বলতে চান। ঠিক হয়, নিরিবিলিতে কথা বলার জন্য দু‘জনে মিলে খাভদা পাহাড়ে ঘুরতে যাবেন। সেই মতো সোমবার দুপুরে খাভদায় পৌঁছন দু’জনে। সেখানেই কথা বলতে বলতে আচমকা পাহাড় থেকে ঠেলে বোনকে নীচে ফেলে দেন যুবক!

Advertisement

মঙ্গলবার মৃতার ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওয়ালুজ পুলিশের ইন্সপেক্টর কৃষ্ণা শিন্ডে জানিয়েছেন, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। জানিয়েছেন, পরিবারের সম্মান বাঁচাতে খুন করেছেন বোনকে! তবে এখনও তদন্ত চলছে। খুনের ঘটনায় পরিবারের অন্য সদস্যদের কোনও হাত রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে তা-ও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement