পুলিশ এসে উদ্ধার করল তরুণীর দেহাংশ (বাঁ দিকে)। তাঁকে খুনে অভিযুক্ত হয়েছেন মনোজ সাহানি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
গত তিন বছর ধরে এক তরুণীর সঙ্গে মুম্বইয়ের এক ফ্ল্যাটে একত্রবাস করছিলেন মনোজ সাহানি। সরস্বতী বৈদ্য নামে ওই তরুণীকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ৫৬ বছরের মনোজের বিরুদ্ধে। খুনের পর দেহ নিয়ে কী করেছিলেন, সেই নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ। রিপোর্ট বলছে, খুনের পর দেহ কেটে কিছু অংশ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করেছিলেন মনোজ। তার পর তা মিক্সিতে পিষেছিলেন। সেদ্ধ করা কিছু অংশ আবার রাস্তার কুকুরকে খাইয়েছিলেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মুম্বইয়ের মীরা রোডে আকাশগঙ্গা নামে একটি বহুতলের ফ্ল্যাটে গত ৩ বছর ধরে ভাড়া থাকতেন মনোজ। সঙ্গে থাকতেন ৩২ বছরের সরস্বতী। বহুতলের ৮ তলার ফ্ল্যাটে থাকতেন তাঁরা। পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত বলছে, সরস্বতীকে খুন করেছেন মনোজ। কেন খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে চলছে তদন্ত।
গত বুধবার নয়ানগর থানায় একটি ফোন আসে। সেখানে ওই বহুতলের বাসিন্দারা অভিযোগ করেন যে, মনোজদের ফ্ল্যাট থেকে দুর্গন্ধ বার হচ্ছে। তার পরেই পুলিশ ওই বহুতলের আট তলার ফ্ল্যাটে যায়। মুম্বইয়ের ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ জয়ন্ত বাজবালে বলেন, ‘‘মীরা রোড এলাকার একটি আবাসন থেকে এক মহিলার টুকরো করা দেহাংশ মিলেছে। ওই ফ্ল্যাটে এক যুগল একত্রবাস করছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মহিলাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে।’’
মুম্বইয়ের এই ঘটনায় অনেকেই শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের ছায়া দেখছেন। গত বছর ১৮ মে দিল্লিতে শ্রদ্ধাকে খুনের অভিযোগ ওঠে তাঁর একত্রবাসের সঙ্গী আফতাব পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। পুলিশের অভিযোগ, আফতাব শ্রদ্ধাকে খুনের পর নিজের ফ্ল্যাটের শৌচালয়ে বসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুকরো করেছিলেন। সেই টুকরো ভরে রেখেছিলেন নতুন কেনা ফ্রিজে। সময়-সুযোগ বুঝে সেই টুকরো ধীরে ধীরে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন আশপাশের জঙ্গলে।