প্রতীকী ছবি।
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে চলন্ত বাস থেকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয়েছে মহিলার। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর দিন্দিগুল জেলায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ভালারমতী। আট মাস আগে বিয়ে হয়েছিল ভেম্বারপত্তি এলাকার পান্ডিয়ান নামে এক যুবকের সঙ্গে। ভালারমতী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে সরকারি বাসে চেপে দিন্দিগুল থেকে পাশের শহর পুন্নামারাবতীতে যাচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাসে ওঠার পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হাতাহাতিও হয়। তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন কয়েক জন যাত্রী। বাসের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভালারমতী। আচমকাই তাঁকে লাথি মারেন পান্ডিয়ান। টাল সামলাতে না পেরে চলন্ত বাস থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন ভালারমতী। গুরুতর জখম হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই ছিল। রবিবার সেই পরিস্থিতি চরমে ওঠে। পান্ডিয়ান মত্ত অবস্থায় ছিলেন। বচসার সময় নেশার ঘোরে স্ত্রীকে লাথি মেরে বাস থেকে ফেলে দেন। এই ঘটনার পর পান্ডিয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভালারমতীর পরিবারের অভিযোগ, পান্ডিয়ান তাঁকে প্রায়ই মারধর করতেন। মত্ত অবস্থায় বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর প্রতিবাদ করতেন ভালারমতী। ফলে তাঁর উপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল। পান্ডিয়ানের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভালারমতীর পরিবার।