হরিয়ানার ফতেহাবাদের এই খুনের ঘটনায় দাদা অশোককে দোষী সাব্যস্ত করল নিম্ন আদালত। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বিশেষ ভাবে সক্ষম ছোট ভাইকে গলা কেটে খুন করেছিলেন। তার পর দীপকের সেই কাটা মাথা প্যাকেটে ভরে পালিয়ে গিয়েছিলেন দাদা। হরিয়ানার ফতেহাবাদের এই খুনের ঘটনায় দাদা অশোককে দোষী সাব্যস্ত করল নিম্ন আদালত। বিচারক জানালেন, এই অপরাধ ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’। দোষীকে ফাঁসির সাজা দিয়েছেন তিনি।
২০২০ সালের ১৮ জুন ভাই দীপককে খুন করেছিলেন দাদা অশোক। তার পরে প্লাস্টিকের ব্যাগে মাথা ভরে পালিয়েছিলেন। পুলিশ তদন্তে নেমে জেনেছিল, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই ভাইকে খুন করেছিলেন দাদা। পরে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কাটা মাথাও উদ্ধার করেছিল।
সাঙ্গরুরের বাসিন্দা সুষমা দেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছিল পুলিশ। সুষমা নিহত দীপক এবং খুনি অশোকের বোন। সুষমা ২০২০ সালে অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, সে সময় তাঁর ভাইয়ের বয়স ছিল ৪০ বছর। তাঁর বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। কয়েক বছর ধরে শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে পড়েছিলেন। মায়ের সঙ্গেই তোহানায় থাকতেন তিনি। তাঁর মা তাঁর নামে নিজের বাড়িও লিখে দিয়েছিলেন। এই নিয়ে রেগে গিয়েছিলেন অশোক। ২০২০ সালের ১৭ জুন রাতে এক সঙ্গে বসে মদ্যপান করেছিলেন দীপক এবং অশোক। দীপকের বাড়িতেই বসেছিল আসর। পরের দিন সকালে বাড়ির দরজায় ধাক্কা দিয়েও কারও সাড়া মেলেনি। শেষে দরজা ভেঙে দীপকের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁর শ্যালক সুরজিৎ। যদিও দেহে মাথা ছিল না। এর পরেই পুলিশ তদন্তে নেমে উদ্ধার করে দীপকের মাথা। অশোককেও গ্রেফতার করা হয়। এ বার তাঁকে ফাঁসির সাজা দিল হরিয়ানার নিম্ন আদালত।