নিজেকে আইআরএস (রাজস্ব দফতর) অফিসার হিসাবে পরিচয় দিতেন। আর সেই পরিচয় দিয়ে একের পর এক মহিলাকে প্রেমের জালে ফাঁসাতেন। তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। অশ্লীল ভিডিয়ো বানিয়ে সেই ভিডিয়ো ওই মহিলাদের পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেল করে লাখ লাখ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি রাজস্থানের।
জয়পুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই যুবককে। পুলিশ সূত্রে খবর, কখনও নিজেকে আইআরএস অফিসার কখনও আবার মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এনসিবি) আঞ্চলিক অধিকর্তার পরিচয় দিতেন সর্বেশ কুমাবত নামে ওই যুবক। তিনি মধ্যেপ্রদেশের উজ্জয়িনীর বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বেছে বেছে সরকারি চাকরিজীবী মহিলাদের নিজের শিকার বানাতেন সর্বেশ। এ ভাবে একের পর এক মহিলাদের প্রতারণা জালে ফেলে টাকাপয়সা হাতিয়ে নিতেন। ২৫ জন মহিলাকে তাঁর প্রেমের ফাঁদে ফেলেন। তার পর তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলে অশ্লীল ভিডিয়ো বানাতেন। সম্প্রতি এক মহিলার সন্দেহ হয়। তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন। অভিযোগ পেয়েই ভুয়ো আইআরএসের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। জয়পুর থেকে গ্রেফতার করা হয় সর্বেশকে।
সর্বেশকে ধরার জন্য পুলিশও জাল পাতে। প্রতারিত এক মহিলাকে এই কাজে ব্যবহার করে পুলিশ। তাঁকে দিয়েই জয়পুরের একটি হোটেলে ডেকে পাঠানো হয় সর্বেশকে। সেখানে আগে থেকেই পুলিশ অপেক্ষা করছিল। সর্বেশ আসতেই তাঁকে ধরে ফেলে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, জয়পুরেরই ২৫ মহিলাকে প্রতারিত করেন সর্বেশ। তাঁদের মধ্যে এক জনের সন্দেহ হয়। তাঁর কাছে নিজেকে এসিবির আঞ্চলিক অধিকর্তা হিসাবে নিজেকে পরিচয় দিয়েছিলেন সর্বেশ। কিন্তু ওই মহিলা এসিবি দফতরে যোগাযোগ করেন। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় এই নামে কোনও অধিকর্তা নেই। অধির্কতার নাম ঘনশ্যাম সোনি। তার পরই ওই মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হন।