— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বাড়ির ছেলে মারা গিয়েছেন ধরে নিয়ে শেষকৃত্য করেছিল পরিবার। ৪২ বছরের সেই ছেলে ফের বেঁচে উঠলেন। তা-ও আবার অন্য এক শহরে। সে কথা জানার পরেই জন্মের পর থেকে যা যা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, সবই হল ছেলের জন্য। এমনকি, হল নতুন করে নামকরণও। তার পর আগের স্ত্রীর সঙ্গেই দেওয়া হল বিয়ে। উত্তরাখণ্ডের উধম সিংহ নগরের ঘটনা।
যুবকের নাম নবীনচন্দ্র ভাট। খতিমা টাউনের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় নিখোঁজ ছিলেন নবীন। এর মধ্যে একটি খবর আসে। পরিবারের লোকজন ভেবে নেন, তিনি মারা গিয়েছেন। ২৩ নভেম্বর হলদওয়ানির সুশীলা তিওয়ারি হাসপাতালে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর মেলে। মৃতের পকেটে নবীনের একটি ছবি এবং কিছু মেডিক্যাল রিপোর্ট মেলে। তার পরেই নবীনের পরিবারকে খবর পাঠানো হয়। জানানো হয়, নবীনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যেরা এসে হাসপাতাল থেকে দেহ নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য করেন।
কিছু দিন পর এক পরিচিত জানান, তিনি রুদ্রপুরে নবীনকে দেখেছেন। সেখানে একটি হোটেলে কাজ করছেন তিনি। এ কথা নবীনের পরিবারকে জানাতে প্রথমে তারা বিশ্বাস করতে চায়নি। এর পরেই তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর পরিবারের ভিডিয়ো কলে কথা বলিয়ে দেন। এর পরেই বিষয়টি থানায় জানানো হয়। পুলিশ ধন্দে পড়ে যে, নবীনের পরিবর্তে কার দেহ দাহ করা হয়েছে।
নবীনকে ঘরে ফিরিয়ে আনে তাঁর পরিবার। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছিল, দু’বছর আগে তাঁকে ছেড়ে সন্তানদের নিয়ে চলে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। নবীন গ্রামে ফেরার পর পুরোহিত নিদান দেন, তাঁর শোধন প্রয়োজন। জন্মের পর একটি শিশুর বেড়ে ওঠা পর্যন্ত যা যা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে, সবই আবার করতে হবে নবীনের। এমনকি নামকরণ এবং বিয়েও। পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান রমেশ মাহার জানান, এর পরেই নবীনের নতুন নাম দেওয়া হয় নারায়ণ ভাট। যদিও সরকারি ভাবে আগের নামই রয়ে গিয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে ফের বিয়েও দেওয়া হয়। তবে নবীন কেন বা কী ভাবে অন্য শহরে গিয়েছিলেন, সে সব জানা যায়নি।