অসাবধানতায় হাইভোল্টেজ তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক। ছবি: টুইটার।
জুতো আনতে ট্রেনের মাথায় উঠেছিলেন যুবক। অসাবধানতায় হাইভোল্টেজ তারের সংস্পর্শে এসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলেন তিনি। প্রকাশ্যেই ঝলসে মৃত্যু হল তাঁর।
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জ রেলস্টেশনের। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের মাথায় এক যাত্রীর জুতো তুলে নিয়ে গিয়েছিল বাঁদর। তা আনতে ট্রেনের মাথায় উঠতেই মৃত্যু হয়েছে যুবকের।
মৃতের নাম অশোক (২৬)। পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্টেশনে তাঁর একটি ছোট দোকান ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে এক বয়স্ক মহিলার জুতো তুলে নিয়ে ট্রেনের মাথায় উঠে গিয়েছিল এক বাঁদর। জুতো হারিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন মহিলা। তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে যান অশোক।
জুতো আনতে ট্রেনের মাথায় উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু অসাবধানতায় ট্রেনের উপরে ২৫ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে আগুন জ্বলে ওঠে। পর পর তিনটি বিস্ফোরণ হয় স্টেশনে। অশোকের গোটা শরীর পুড়ে ছাই হয়ে যায় মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে।
স্টেশন মাস্টার মনোজ শর্মা বলেন, ‘‘এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটির খবর পাওয়া মাত্র কন্ট্রোল রুম থেকে স্টেশনের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ট্রেনের মাথায় যে আগুন লেগেছিল, তা নিভিয়ে দেন কর্মীরা। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয় ঝলসানো মৃতদেহ।’’
মৃত যুবকের এক আত্মীয় ঘটনাস্থলেই উপস্থিত ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ওই দিন ঘটনাস্থলে রেল পুলিশের কোনও আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না। তাই অশোককে কেউ বাধা দেননি।
রেল পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কী ভাবে ভরা স্টেশনে এমন ঘটনা ঘটল, এতে কাদের গাফিলতি রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিকে, কাসগঞ্জ স্টেশনে বাঁদরের উৎপাত দীর্ঘ দিনের। যাত্রী এবং স্টেশনে কর্মরত অনেকেই এ বিষয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন বার বার। কিন্তু অভিযোগ, তাতে কোনও ফল হয়নি। আগেও বাঁদরের উৎপাতে স্টেশন চত্বরে একাধিক মৃত্যু হয়েছে।