যে মহিলা হেলমেটগুলি তৈরি কড়েছেন, তাঁর নাম টিনা সিংহ। ছবি: সংগৃহীত
একটি হেলমেটই ফারাক হয়ে দাঁড়াতে পারে জীবন ও মৃত্যুর। তাই দু’চাকার আরোহীদের বার বার মনে করিয়ে দেওয়া হয় হেলমেট পরিধানের কথা। কিছু কিছু দেশে ১৮ বছরের কম বয়সি কিশোর-কিশোরীদের সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রেও হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। কিন্তু মাথায় পাগড়ি থাকায় হেলমেট পরতে খুবই অসুবিধা হত কানাডায় বসবাসকারী এক শিখ পরিবারের দুই খুদের। তাই সন্তানদের সুরক্ষায় যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তার জন্য এগিয়ে এলেন মা। বিশেষ ভাবে তৈরি এক হেলমেট গড়লেন তিনি।
যে মহিলা হেলমেটগুলি তৈরি করেছেন, তাঁর নাম টিনা সিংহ। টিনা জানিয়েছেন, শিখ শিশুরা মাথায় যে পাগড়ি পরে তাতে তালুর দিকটি কিছুটা উঁচু হয়ে থাকে। ফলে পাগড়ি-সহ হেলমেট পরা বড় ঝক্কির। তন্ন তন্ন করে খুঁজেও দুই ছেলের পরার মতো কোনও হেলমেট খুঁজে পাননি তিনি। শেষে নিজেই বিশেষ ধরনের এক হেলমেট তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বানিয়ে ফেলেন ‘শিখ হেলমেট’। বিশেষ এই হেলমেটের উপরের দিকটি গোলকাকৃতি নয়। তালুর যে জায়গাটিতে পাগড়ির স্ফীত অংশটি থাকে, ঠিক সেই জায়গাটিতেই ফোলা হেলমেটটিও।
নিজের সন্তানদের পাশাপাশি যাতে অন্যরাও এই হেলমেট কিনতে পারেন, তাই হেলমেট বিক্রির একটি ওয়েবসাইটও খুলেছেন টিনা। তাঁর দাবি, সাধারণ হেলমেট বাজারে আনার জন্য যে যে সুরক্ষাবিধি মানতে হয়, এই শিখ শিরস্ত্রাণও সেই সব বিধি পালন করেই তৈরি। বিশেষ এই হেলমেটের ছবি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে। অনেকেই মনে করিয়ে দিচ্ছেন, দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তার থেকেই নতুন নতুন জিনিসের আবিষ্কার হয়। এই হেলমেটও তার উদাহরণ।