বৃহস্পতিবার হুবলি-ধারওয়াড় পুলিশের ডিসিপি (অপরাধ দমন শাখা) গোপাল ব্যাকর নিরাপত্তা ভাঙার অভিযোগ অস্বীকার করেন। ছবি: টুইটার।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয় ভেঙে মালা হাতে ছুটে গেলেন যুবক। শেষ পর্যন্ত তাঁকে টেনে সরিয়ে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। পরে আটকও হয়েছেন যুবক। কর্নাটক পুলিশ অবশ্য সাফ জানিয়েছে, এ ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নীতি ভাঙা হয়নি।
বৃহস্পতিবার হুবলি-ধারওয়াড় পুলিশের ডিসিপি (অপরাধ দমন শাখা) গোপাল ব্যাকর নিরাপত্তা ভাঙার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বলয় লঙ্ঘিত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর রোডশোয়ের সময় এক জন তাঁকে মালা পরানোর চেষ্টা করেন। আমরা ওই ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য জোগারের চেষ্টা করছি।’’ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)-এর একটি সূত্র জানিয়েছে, যেখান দিয়ে ওই যুবক গলে এসেছে, সেখানে ঘেরাও করে ছিল নিরাপত্তারক্ষীরা। গোটা এলাকায় কড়া নজরদারি ছিল। এএনআইকে এসপিজির একটি সূত্র বলেছে, ‘‘এটা গুরুতর লঙ্ঘন নয়।’’
বৃহস্পতিবার কর্নাটকের হুবলিতে জাতীয় যুব উৎসবে যোগ দিতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিমানবন্দরে নেমে কর্মসূচিস্থলে যাচ্ছিলেন তিনি। গাড়ির পাদানিতে দাঁড়িয়ে। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাধারণ মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর পাশ দিয়ে ছুটছিলেন তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা। তখনই নিরাপত্তা বলয় টপকে মোদীর একেবারে কাছে পৌঁছে যান ওই যুবক। তাঁকে মালা দিতে যান। প্রধানমন্ত্রী হাতে মালাটি নিয়ে এক রক্ষীকে দিয়ে দেন।
এই ঘটনার পরেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)। কনভয়ের বহির্বলয়ে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে রাজ্য পুলিশ। সেই সমস্ত বলয় ভেঙে কী ভাবে যুবক ঢুকে পড়লেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও হুবলির পুলিশ কমিশনার দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় কোনও রকম গাফিলতি হয়নি।