মমতার বিরুদ্ধে সমন খারিজ করে দিল মুম্বইয়ের এক আদালত। — ফাইল ছবি।
আপাতত স্বস্তিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করেছেন বলে মমতার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করেছিলেন মুম্বইয়ের এক বিজেপি নেতা। তা নিয়ে সমন পাঠানো হয়েছিল মমতাকে। সেই সমনই খারিজ করে দিল মুম্বইয়ের এক আদালত। ওই আদালতের বিশেষ বিচারক আরএন রোকড়ে জানান, মমতাকে সমন পাঠানোর প্রক্রিয়ায় ত্রুটি রয়েছে। তাঁর মতে, নগর দায়রা আদালতের যে বিচারক মমতাকে সমন পাঠিয়েছেন, তিনি আইনের জরুরি বিষয় মানেননি। প্রক্রিয়া মেনে ফের সমন পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ওই আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, নগর দায়রা আদালতের বিচারক যে প্রক্রিয়ায় সমন পাঠিয়েছেন, তা নিয়ম মেনে হয়নি। এমনকি, অভিযোগকারী বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ গুপ্ত সম্পর্কে খবরাখবর নিয়ে তা হলফনামায় জানানো হয়নি। আইনি যুক্তি দিয়ে বিশেষ আদালত সমন পাঠানোর বিষয়টি ফের ওই বিচারকের কাছে পাঠিয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আইনের সব প্রক্রিয়া মেনে যেন তিনি ফের সমন পাঠান।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর মুম্বইয়ের কাফে প্যারেডে যশবন্তরাও চভন প্রেক্ষাগৃহে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। কর্মসূচির শেষে চেয়ারে বসেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জাতীয় সঙ্গীতে গলা মিলিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা বিবেকানন্দ। তিনি সেই নিয়ে কাফে প্যারেড থানায় অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। এর পর মু্ম্বইয়ের সিউরির নগর দায়রা আদালতে অভিযোগ করেন তিনি। মমতাকে সমনও পাঠায় ওই আদালত। ২০২২ সালের ২ মার্চ মমতাকে আদালতে হাজির হওয়ার কথা বলা হয়।
মমতা এর পর ওই নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতের দ্বারস্থ হন। গত ফেব্রুয়ারিতে বিশেষ আদালতের বিচারক এই সমনের উপর স্থগিতাদেশ দেন। একই সঙ্গে অভিযোগকারী এবং মহারাষ্ট্র সরকারের জবাবও চান তিনি। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন যে, মমতা কি ওই কর্মসূচিতে এক জন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবেই যোগ দিয়েছিলেন? তাঁর বিচার করতে গেলে কি অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে? মমতার আইনজীবী জানিয়েছিলেন, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্ক মজবুত করার জন্যই ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সরকারি আইনজীবী দাবি করেছেন, ওটি সরকারি নয়, বরং রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল।
এ বার সেই সমন প্রক্রিয়া মেনে পাঠানো হয়নি বলে জানাল ওই আদালত।