রেললাইন থেকে উদ্ধার হয়েছে ভাড়াটে মহিলার দেহ। ছবি: প্রতীকী
ভাড়াটে মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই মহিলা বাড়ির মালিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে রাজি হননি। সে কারণেই তাঁকে খুনের অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রেল লাইন থেকে ওই মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের ধারণা, খুনের পর তাঁর দেহ রেললাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, যাতে মনে হয় আত্মঘাতী হয়েছেন মহিলা। মহিলার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। পঞ্জাবের লুধিয়ানার ঘটনা।
জগজিৎ সিংহ ওরফে জগ্গার নামে খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। লুধিয়ানার পাওয়া গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার স্বামী রূপেশকুমার যাদব। মৃতার নাম মুন্নি দেবী। বস ২৮ বছর। বিহার থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে লুধিয়ানায় স্বামীর কাছে এসেছিলেন তিনি। তাঁর স্বামীর রূপেশের অভিযোগ, মুন্নিকে উত্যক্ত করতেন জগ্গা।
রূপেশ জানিয়েছেন, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার লাগানোর জন্য সাহায্য চেয়ে মুন্নিকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন রূপেশ। তখনই তাঁকে শারীরিক সংসর্গের প্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ। মুন্নি রাজি না হওয়ায় রেগে যান। ঘরে ফিরে রূপেশকে সব কথা জানান মুন্নি। এর পরেই রূপেশ জগ্গার কাছে গেলে তাঁকে শাসান তিনি। রূপেশের দাবি, এর কিছু ক্ষণ পরেই মুন্নির নিখোঁজ হয়ে যান। থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান রূপেশ। পরে থানা থেকে তাঁকে জানানো হয়, রেললাইনের ধারে মুন্নির দেহ মিলেছে। সাব ইনস্পেক্টর হরমিত সিংহ জানিয়েছেন, রেল পুলিশ মুন্নির দেহ উদ্ধার করে। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। শাহনেওয়াল থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে।