অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যুবকের বিরুদ্ধে ৩০২ (খুন) ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
এক বৃদ্ধাকে পাথর দিয়ে থেঁতলে খুনের পর তাঁর মাংস খাওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি রাজস্থানের পালি জেলার সারাধনা গ্রামের।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম সুরেন্দ্র ঠাকুর। তিনি মুম্বইয়ের বাসিন্দা। তাঁকে গ্রেফতার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুরেন্দ্র জলাতঙ্কে আক্রান্ত। তাঁদের ধারণা, কোনও পাগল কুকুর সুরেন্দ্রকে কামড়েছিল। তিনি টিকাও নেননি, চিকিৎসাও করাননি। যার জেরে জলাতঙ্কে আক্রান্ত হয়েছেন। সুরেন্দ্র বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, শুক্রবার বছর পঁয়ষট্টির এক বৃদ্ধা শান্তিদেবী গ্রামেরই একটি মাঠে গরু চরাতে গিয়েছিলেন। সেই সময় সুরেন্দ্র তাঁর উপর হামলা চালান। বৃদ্ধার মাথা পাথর দিয়ে থেঁতলে দেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরের ঘটনা আরও ভয়াবহ। ওই প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, মহিলার মৃত্যুর পর তাঁর মাংস কামড়ে ছিঁড়ে খেতে শুরু করেছিলেন যুবক।
শান্তিদেবীর পুত্র বীরেন কাতহাত বলেন, “মাঠে ছাগল চরিয়ে ফিরছিলাম। হঠাৎ দেখি এক যুবক এক মহিলার দেহ থেকে মাংস ছিঁড়ে খাচ্ছেন। বুঝতে পারিনি ওই মহিলাই আমার মা। মুখ এবং মাথা থেঁতলানো ছিল। চারদিকে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। যুবকের মুখেও পুরো রক্তমাখা ছিল। এই দৃশ্য দেখে আমি ভয়ে পালিয়ে যাই।” এর পরই স্থানীয়দের খবর দেন বীরেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে এসে চমকে ওঠেন। প্রচুর লোকজন দেখে ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থানীয়রা তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
ডেপুটি পুলিশ সুপার সুখরাম বিষ্ণোই বলেন, “অভিযুক্তকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। হাসপাতালেও চিৎকার চেঁচামেচি করছিলেন। তার পর তাঁর হাত-পা বেঁধে রাখা হয়।” ডেপুটি পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মুমব্ই থেকে বাসে করে রাজস্থানের পালির সেন্দ্রায় এসেছিলেন যুবক। তাঁর কাছ থেকে বাসের একটি টিকিটও উদ্ধার হয়েছে।