নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন হয়েছে রবিবার। ছবি: সংগৃহীত।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে উদ্বোধন হয়েছে নতুন সংসদ ভবনের। রবিবারই ভবনের উদ্বোধন করেন মোদী। বিতর্কের মাঝে এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন বিরোধীরা।
দিল্লিতে দীর্ঘ দিন ধরে চলেছে নতুন এই সংসদ ভবন নির্মাণের কাজ। টাটা গোষ্ঠী এই নির্মাণের ভার পেয়েছিল। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হল রবিবার। নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ।
এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে ৭৫ টাকার মুদ্রার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই মুদ্রা নতুন সংসদ ভবনের স্মারক হিসাবে থাকবে।
সংসদ ভবনটি ত্রিভূজাকৃতি। এটি ৬৪,৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে তৈরি হয়েছে। ভবনে আছে চারটি তলা। সংসদ ভবনের তিনটি প্রধান ফটকের নাম যথাক্রমে জ্ঞান দ্বার, শক্তি দ্বার এবং কর্ম দ্বার। এ ছাড়া, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের প্রবেশের জন্য আলাদা দ্বার আছে এই ভবনে। ভবনটি নির্মাণের জন্য সারা দেশ থেকে উপাদান সংগ্রহ করা হয়েছে। নাগপুর থেকে এসেছে সেগুন কাঠ, লাল এবং সাদা বেলেপাথর আনা হয়েছে রাজস্থান থেকে। এ ছাড়া, মির্জাপুরের গালিচা, উদয়পুরের কেশরিয়া সবুজ মার্বেল পাথর, মুম্বইয়ের আসবাবপত্র দিয়ে ঢেলে সাজানো হয়েছে ভবনের অন্দরমহল।
স্বর্ণদণ্ড সেঙ্গল নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এই সেঙ্গলটি ব্রিটিশদের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। এত দিন তা রাখা ছিল ইলাহাবাদের মিউজিয়ামে। সেই স্বর্ণদণ্ড নতুন সংসদ ভবনে লোকসভার স্পিকারের আসনের কাছে স্থাপন করা হয়েছে। বিজেপির দাবি, এটি আসলে ব্রিটিশদের ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক। কিন্তু কংগ্রেস এই দাবি মানতে নারাজ।
ভবনের উদ্বোধন কে করবেন, তা নিয়েও বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। বিরোধীদের দাবি, সাংবিধানিক পদমর্যাদা বলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর উচিত সংসদ ভবনের উদ্বোধন করা। কিন্তু ভবনটি উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিতর্কের জল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। এর ফলে বিরোধী দলগুলি উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কটের ডাক দিয়েছে।
রবিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভবনে পৌঁছন। ছিলেন স্পিকার ওম বিড়লা এবং অন্য নেতা, মন্ত্রীরাও।