প্রতীকী ছবি।
ডিমের তরকারি রান্না করতে রাজি না হওয়ায় লিভ ইন সঙ্গীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার গুরুগ্রামের চৌমা গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম লল্লন যাদব। জেরায় তিনি লিভ ইন সঙ্গীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি এক তদন্তকারী আধিকারিকের। পুলিশের কাছে লল্লন দাবি করেছেন, মত্ত অবস্থায় ছিলেন। নেশার ঘোরে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন। দিল্লির সরাই কালে খান এলাকা থেকে শনিবারই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অঞ্জলি। তিনি কাগজ কুড়োনোর কাজ করতেন। শনিবার চৌমা গ্রামের একটি নির্মীয়মাণ বাড়ি থেকে অঞ্জলির গলাপচা দেহ উদ্ধার হতেই শোরগোল পড়ে যায়। ওই বাড়িরই কেয়ারটেকার প্রথমে দেহটি দেখতে পান। তিনিই পুলিশে খবর দেন। তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে মৃতের সঙ্গে এক যুবকও থাকতেন। এলাকাবাসীদের জিজ্ঞাসা করতেই লল্লনের নাম জানতে পারে পুলিশ। তার পরই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তখনই খুনের কথা স্বীকার করেন লল্লন।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১০ মার্চ গুরুগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বাড়ি ভাড়া নেন যাদব। তাঁর সঙ্গে অঞ্জলিও ছিলেন। বাড়ির মালিককে তিনি অঞ্জলিকে স্ত্রী হিসাবে পরিচয় দেন। পুলিশকে লল্লন জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী ছ’বছর আগে সাপের কামড়ে মারা গিয়েছিলেন। তার পর তিনি দিল্লিতে চলে আসেন। সাত মাসে আগে অঞ্জলির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তার পর থেকেই তাঁরা দু’জনে দিনমজুরের কাজ শুরু করেন। গত বুধবার কাজ থেকে ফিরে অঞ্জলিকে ডিমের তরকারি রান্না করতে বলেন লল্লন। তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। অঞ্জলি রান্না করতে না চাওয়ায় তাঁকে প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে কুপিয়ে খুন করে চৌমা গ্রামের কাছে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে ফেলে দিয়ে আসেন।