দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা। —নিজস্ব চিত্র
উত্তর ভারতে তাঁর দলের শক্তি বাড়ানোই যে লক্ষ্য, রাজধানীতে দাঁড়িয়ে তা স্পষ্ট করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কীর্তি আজাদ এবং অশোক তানওয়ার তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই মমতা জানালেন, তিনি দ্রুত পঞ্জাব এবং হরিয়ানা যেতে চান। মমতার কথায়, ‘‘হরিয়ানা-পঞ্জাব এখান থেকে খুব বেশি দূরে নয়। আপনারা যত দ্রত বলবেন, তত দ্রুতই হরিয়ানা-পঞ্জাবে আমি যাব।’’ বাইরে দাঁড়ানো জনতার উদ্দেশে তাঁর বক্তব্য, ‘‘আপনাদের অনেক ধন্যবাদ এত কষ্ট করে এখানে এসেছেন বলে। একই সঙ্গে আপনাদের ধন্যবাদ জানাব দেশের মঙ্গলের জন্য বিজেপি-কে হারানোর মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। সব রাজ্যকে নিয়েই আমি এগোতে চাই।’’
ত্রিপুরার হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। সেই পরিস্থিতিতেই সোমবার বিকালে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। চার দিনের সফরে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মমতার। তাঁর উপস্থিতি মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন রাজনৈতিক জগতের পরিচিত মুখ। কবি-সুরকার জাভেদ বিজেপি বিরোধী মুখ হিসাবে দেশে পরিচিত। জাভেদ-সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বেদের সঙ্গে মমতার বৈঠকও হয়েছে।
মমতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকও হওয়ার কথা। বিএসএফ-এর ক্ষমতাবৃদ্ধি-সহ রাজ্যের বকেয়া নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।