মহুয়া মৈত্র। ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, তাঁর নামের সঙ্গে ‘পাপ্পু’-র তকমা জুড়ে দিতে বিজেপি অনেক অর্থ খরচ করেছে। কয়লা-কাণ্ডে ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের শেষে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ‘পাপ্পু’ বলে নিশানা করেছিলেন। আজ লোকসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তথা মোদী সরকারের দিকে অর্থনৈতিক অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে মহুয়া মৈত্র প্রশ্ন তুললেন, ‘এখন তা হলে পাপ্পু কে?’
বাজেট অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ নিয়ে আলোচনায় আজ লোকসভায় তৃণমূলের হয়ে মহুয়া মৈত্র বলেন, প্রতি বছরই ফেব্রুয়ারিতে বাজেটের সময় অর্থনীতি, রাজকোষের হাল নিয়ে ভাল ভাল কথা শোনা যায়। ৮ থেকে ১০ মাসের মধ্যে সরকার সংসদে এসে আরও অর্থ বরাদ্দ করতে চায়। এখন যেমন ৩.২৬ লক্ষ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচের প্রস্তাব আনা হয়েছে। কিন্তু জোনাথন সুইফট বলে গিয়েছিলেন, মিথ্যে এক ঘণ্টা চললেও তা সফল।
সরকারি পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করেই মহুয়া বলেন, অক্টোবরে শিল্পে উৎপাদন ৪% কমেছে। কারখানা উৎপাদন কমেছে ৫.৬%। বিদেশি মুদ্রার ভাণ্ডার এক বছরে ৭২০০ কোটি ডলার কমেছে। নোট বাতিলের কোনও লক্ষ্যই পূরণ হয়নি। গত ৮ বছরে ১২.৫ লক্ষ ভারতীয় দেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। ইডি-র হানায় আতঙ্কের আবহে ধনী ভারতীয়রা অন্য দেশের নাগরিকত্ব পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছেন। প্রতিটি অভিযোগের পরেই মহুয়া প্রশ্ন তুলেছেন, তা হলে পাপ্পু কে? তিনি বলেন, ইডি-র দফতর, আবাসনের জন্য ২,৯০০ কোটি টাকা খরচ করতে চাইছে কেন্দ্র। ইডি-র ৫,৪২২টি মামলায় মাত্র ২২জনকে দোষী সাব্যস্ত করছে। রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে মামলার ৯৫% বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে। করদাতাদের টাকায় চলা ইডি-র এই কাজের খতিয়ান নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গকে ভাগ করার প্রস্তাব, সিএএ, ধর্ষণে দোষীদের মুক্তি দিয়ে বিজেপি আসল বিষয় থেকে নজর সরানোর রাজনীতি করছে বলেও মহুয়া অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, ভোটারদেরও ভাবতে হবে, কার হাতে দেশের ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। জনবসতিতে আগুন কে ধরালো, শুধু সেটাই প্রশ্ন নয়। পাগলের হাতে কে দেশলাই দিল, সেটাও প্রশ্ন।