পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, উদ্ধার প্রচুর নগদ। ছবি: সংগৃহীত।
কোন সময়ে ডাকাতি করলে সাফল্যের সম্ভাবনা ষোলআনা? সময় গুনেগেঁথে সেই ‘মাহেন্দ্রক্ষণ’ বেছে দিয়েছিলেন এক জ্যোতিষী। তার পর ফি বাবদ নিয়েছিলেন কড়কড়ে ৮ লক্ষ টাকা। কিন্তু দিনের শেষে টাকাই গেল জলে। ১ কোটির সামগ্রী হাতিয়েও শেষরক্ষা হল না মহারাষ্ট্রের বারামতির পাঁচ ডাকাতের। সকলকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মাস চারেক আগের কথা। পেশায় দিনমজুর পাঁচ ব্যক্তি খবর পান, তাঁদেরই এক পরিচিতের বাড়িতে সোনাদানা এবং নগদ টাকা রয়েছে। তাঁরা ওই বাড়িতে ডাকাতি করার কথা ভাবেন। কিন্তু ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কী হবে! আগে এমন অভিজ্ঞতা না থাকায় চিন্তায় পড়েন তাঁরা। অনেক ভেবেচিন্তে রামচন্দ্র চবন নামে এক জ্যোতিষীর দ্বারস্থ হন তাঁরা। জ্যোতিষী রামচন্দ্র পাঁচ জনকে জানান, ‘শুভলগ্ন’ নির্ণয় করে দিতে পারেন, কিন্তু সে জন্য খরচ করতে হবে বেশ কিছু টাকা। ধরা না পড়ার শর্তে জ্যোতিষীর দাবি মেনে নেন তাঁরা। সকলে মিলে জ্যোতিষীকে দেন ৮ লক্ষ টাকা।
তার পর গত ২১ এপ্রিল জ্যোতিষীর বলা ‘শুভলগ্নে’ জনৈক সাগর গোফানের বাড়িতে হানা দেন পাঁচ জন। তখন বাড়িতে সাগর ছিলেন না। সাগরের স্ত্রীকে বেঁধে রেখে মারধর করার পর বাড়ি থেকে নগদ ৯৫ লক্ষ টাকা এবং ১১ লক্ষ টাকার গয়না হাতিয়ে চম্পট দেন পাঁচ জন। ভেবেছিলেন, জ্যোতিষীর হাতের গুণেই কামাল করে ফেলেছেন তাঁরা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
ঘটনার চার মাস বাদে পুলিশ সচিন অশোক জগধানে, রাইবা তানাজি চবন, রবীন্দ্র শিবাজি ভোঁসলে, দুর্যোধন ধনাজি যাদব এবং নিতিন অর্জুন মোরেকে গ্রেফতার করে। বারামতির পুলিশ আধিকারিক অঙ্কিত গোয়েল বলেন, ‘‘চার মাস আগে, ২১ এপ্রিল বারামতির দেবকাটনগরে একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ধৃতেরা সকলেই দিনমজুরের কাজ করেন।’’
ঘটনা প্রসঙ্গে চিন্তা ব্যক্ত করেছিলেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পওয়ার। তার পরেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ৭৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।