একনাথের নয়া মন্ত্রিসভা। ছবি: পিটিআই।
পুরনো বোতলে নতুন মদ। শিন্ডেসেনা-বিজেপি জোটের ক্ষমতা দখলের ৪০ দিন পরে মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ দেখে এমনটাই বলছেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। একনাথ শিন্ডে-দেবেন্দ্র ফডণবীস সরকারে মঙ্গলবার যে ১৮ জন শপথ নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে ১৭ জনই আগে কোনও না কোনও সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মহারাষ্ট্রের নয়া সরকারে ঠাঁই পাননি কোনও মহিলা!
গত ৩০ জুন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপির ফডণবীস। তার ৪১ দিন পর, মঙ্গলবার বেলা সওয়া ১১টায় রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারির কাছে শপথ নিলেন শিন্ডেসেনা এবং বিজেপির ৯ জন করে মন্ত্রী। সেই তালিকায় রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুধীর মুঙ্গনতিওয়ারের মতো নেতারা। রয়েছেন কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা রাধাকৃষ্ণ ভিখে পাটিলের মতো নেতাও।
মুম্বই বিজেপির সভাপতি তথা মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে ধনী বিধায়ক (ঘোষিত সম্পত্তি ৪৪১ কোটি টাকা) মঙ্গল প্রভাত লোঢাও নয়া মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন। পেয়েছেন পাঁচ বারের বিজেপি বিধায়ক, তফসিলি নেতা বিজয়কুমার গাভিট, সুরেশ খড়ে, অতুল সভের মতো প্রভাবশালী বিজেপি নেতারা।
অন্য দিকে, শিন্ডের ঘনিষ্ঠ দীপক কেসরকর, তানাজি সামন্ত, গুলাবরাও পাটিল, উদয় সামন্তরা ঠাঁই পেয়েছেন মন্ত্রিসভায়। ২০১৯-এর বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস ছেড়ে শিবসেনার যোগ দিয়ে জিতেছিলেন আব্দুল সাত্তার। শিন্ডে শিবিরে যোগ দিয়ে এ বার মন্ত্রী হয়েছেন তিনি।