লালু ও রোহিণী। ফাইল চিত্র।
পটনায় তখন জেডি(ইউ)-র সাংসদ-বিধায়ক-নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে এনডিএ ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নীতীশ কুমার। হঠাৎ টুইট লালু-কন্যা রোহিণী আর্যর— ‘রাজতিলক কা করো তৈয়ারি, আ রহে হ্যায় লণ্ঠনধারী’।
সেই টুইটে লণ্ঠনধারী আরজেডি সমর্থকদের একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন রোহিণী। সেখানে তাঁদের গাইতে দেখা যাচ্ছে ভোজপুরী গান— ‘লালু বিন চালু এ বিহার না হোই’ (লালুকে ছাড়া বিহার চলবে না)। লালুর পাশাপাশি রয়েছে তেজস্বীর ছবিও।
রোহিণীর বক্তব্য স্পষ্ট— পাঁচ বছর পরে আবার পটনায় ক্ষমতার অংশীদার হতে চলেছে লালুর দল আরজেডি। যার প্রতীকচিহ্ন লণ্ঠন। লালু-পুত্র জেডি(ইউ)-আরজেডি-কংগ্রেস-বামেদের সেই ‘মহাগঠবন্ধন’ সরকারে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন বলে ইতিমধ্যেই জল্পনা শুরু হয়েছে। আরজেডির একটি সূত্রে জানাচ্ছে, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী এ বার পেতে পারের স্বরাষ্ট্র দফতরের দায়িত্ব।
লালুর বন্ধু এক আয়কর আধিকারিকের পুত্র রাও সমরেশ সিংহকে ২০০২ সালে বিয়ে করেন রোহিণী। তবে সে ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁকে দেখা যায়নি। লালুর আর এক মেয়ে মিসা ভারতী এর আগে রাজনীতিতে পা রেখেখেন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে পটনায় হারার পরে রাজ্যসভা পাঠানো হয় তাঁকে। এ বার কি সক্রিয় রাজনীতিতে রোহিণীর পা রাখার পালা?