Maoist Link

সাইবাবার মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ মহারাষ্ট্র সরকারের! সুপ্রিম কোর্টে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি শনিবার

বম্বে হাই কোর্ট শুক্রবার মাওবাদী সংশ্রবে অভিযুক্ত প্রাক্তন অধ্যাপকের মুক্তির রায় ঘোষণা করে জানিয়েছিল, মহারাষ্ট্র পুলিশ আদালতগ্রাহ্য কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২২ ২১:০৮
Share:

পাঁচ বছর কাটিয়ে মাওবাদী-যোগের অভিযোগ থেকে মুক্তি প্রাক্তন অধ্যাপক সাইবাবার। ফাইল চিত্র।

বম্বে হাই কোর্ট মুক্তি দিলেও মাওবাদী সংস্রবের অভিযোগ থেকে প্রাক্তন অধ্যাপক জি এন সাইবাবাকে ছাড় দিতে নারাজ মহারাষ্ট্র সরকার। শুক্রবার বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চের রায় ঘোষণার পরেই নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধের মুক্তির নির্দেশকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানায় মহারাষ্ট্রের বিজেপি-শিন্ডেসেনা সরকার। আবেদন গ্রহণ করে শনিবার বেলা ১১টায় জরুরি ভিত্তিতে বিচারপতি এম আর শাহ এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চে শুনানির কথা জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

মাওবাদীদের সঙ্গে গোপন যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। এই অভিযোগে ২০১৪ সালে দিল্লির অধ্যাপক সাইবাবাকে গ্রেফতার করেছিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। এর পর নিম্ন আদালত দিয়েছিল যাবজ্জীবন জেলের সাজা। শুক্রবার বম্বে হাই কোর্টের নাগপুর বেঞ্চ মাওবাদী সংস্রবের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় তাঁকে। বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি রোহিত দেও এবং অনীত পানসরের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার রায় ঘোষণা করে জানায়, মহারাষ্ট্র পুলিশ সাইবাবা এবং সহ-অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আদালতগ্রাহ্য কোনও তথ্যপ্রমাণ পেশ করতে পারেনি।

সাইবাবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করে ২০১৭ সালে দেওয়া নিম্ন আদালতের রায় শুক্রবার খারিজ করে দেয় বম্বে হাই কোর্ট। নিম্ন আদালতের ওই রায়কেই ২০১৭ সালে হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন প্রতিবন্ধী সাইবাবা। নাগপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক সাইবাবা এখন শারীরিক ভাবে চলচ্ছক্তিহীন। আদালতে রায় ঘোষণার জন্য হুইল চেয়ারে আনা হয়েছিল তাঁকে।

Advertisement

দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) পড়ুয়া হেম মিশ্র এবং সাংবাদিক প্রশান্ত রাহিকে ২০১৩ সালে মাওবাদী যোগের অভিযোগে মহারাষ্ট্র পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সেই সূত্র ধরেই পরের বছর দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রামলাল আনন্দ কলেজের অধ্যাপক সাইবাবাকে।

মহারাষ্ট্র পুলিশের অভিযোগ ছিল, দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয় ভাবে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সাইবাবা। ২০১২ সালে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশে নিষিদ্ধ একটি মাওবাদী সংগঠনের সম্মেলনেও নাকি অংশ নিয়েছিলেন তিনি! শারীরিক অক্ষমতার কারণে জামিন পেয়ে গেলেও ২০১৭-য় নিম্ন আদালত ইউএপিএ (বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন) আইনে সাজা ঘোষণার পরে জেলে যেতে হয় প্রতিবন্ধী ওই অধ্যাপককে। মহারাষ্ট্রের সরকার এখনও সাইবাবা আর তার সঙ্গীদের বন্দি রাখতে সক্রিয়!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement