ফাইল ছবি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অন্তত দু’টি ফোনের পরই মত বদলান দেবেন্দ্র ফডণবীস। শপথ নেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনই দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। মোদীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাও ফডণবীসকে শিন্ডের ডেপুটি হতে আবেদন জানিয়েছিলেন।
মহারাষ্ট্রে অপ্রত্যাশিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন বিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়কদের নেতা একনাথ শিন্ডে। তাঁর ডেপুটি হিসেবে শপথ নিয়েছেন একদা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা মহারাষ্ট্র বিজেপির শীর্ষ নেতা ফডণবীস। কিন্তু তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ব্যাপক সংশয়। শিন্ডেকে সামনে এগিয়ে দিয়ে নিজেকে মন্ত্রিসভার বাইরে রাখতে চেয়ে প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন ফডণবীস। কিন্তু কোন মন্ত্রে শেষ মুহূর্তে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি! সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছে, রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে অন্তত দু’বার ফোনে কথা হয়েছিল ফডণবীসের। তার পরই তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে এগিয়ে যান। ঘটনাচক্রে, তাঁকে মন্ত্রিসভায় থাকতে বলে টুইটারে আবেদন জানান দলের সভাপতি নড্ডা। একই কথা বলেন অমিত শাহও।
যদিও মহারাষ্ট্রের ঘটনাবলী এবং তা নিয়ে বিজেপির রণকৌশলের আগাগোড়াই জানতেন ফডণবীস বলে দাবি করা হয়েছে বিভিন্ন সূত্র থেকে। অমিত শাহ পর্দার পিছন থেকে গোটা ‘অপারেশন’ চালালেও, ফডণবীসের রাজনৈতিক মস্তিষ্ককেও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। কারণ, বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করে, মহারাষ্ট্রে দলের তৃতীয় রাজ্যসভার প্রার্থীর জয়ের পিছনে ফডণবীসের কৃতিত্বই বেশি। এমনকি শিবসেনা বিধায়কদের ‘বিদ্রোহ’ এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি সম্মানেই তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী পদ নিতে রাজি হন বলেও দাবি মহারাষ্ট্র বিজেপির অন্দরে।
মহারাষ্ট্রের দিকে নজর দিতে হায়দরাবাদে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও গরহাজির ফডণবীস।