Pankaja Munde

‘আমার রাজনীতি আলাদা’, মহারাষ্ট্রে যোগীর ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’-র উল্টো পথে হাঁটতে চান পঙ্কজা

দিনকয়েক আগে মহারাষ্ট্রে একটি প্রচারসভায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেন, ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়।’’ অনেকের মতে, যোগীর ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’র রেশ টেনেই নয়া স্লোগান মোদীর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২৯
Share:

মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেত্রী পঙ্কজা মুন্ডে। — ফাইল চিত্র।

এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের পর এ বার মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেত্রী পঙ্কজা মুন্ডে ‘বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগানের বিরোধিতা করলেন। মহারাষ্ট্রে আসন্ন নির্বাচনের আগে প্রচারে গিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন পঙ্কজা।

Advertisement

‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পঙ্কজা বলেন, ‘‘আমার রাজনীতি আলাদা। আমি বিজেপি করি বলেই আমাকে এই স্লোগান সমর্থন করতে হবে, এমনটা নয়। সব মানুষকে আপন করে নেওয়াই তো একজন নেতার কাজ। তাই আমার মনে হয় এই সব না ভেবে আমাদের উন্নয়নমূলক কাজে মন দেওয়া উচিত। মহারাষ্ট্রে এই স্লোগানের কোনও প্রয়োজন নেই।’’

যোগী আদিত্যনাথের ‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগানের প্রসঙ্গে পঙ্কজার মত, উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কথা বিবেচনা করে ওই মন্তব্য করেছিলেন যোগী। মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সেই নীতি প্রযোজ্য নয়। পঙ্কজা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মোদী সকলকে ন্যায়বিচার দিয়েছেন। মানুষকে রেশন, বাসস্থান কিংবা রান্নার গ্যাস দেওয়ার সময় তো জাতপাত, ধর্ম দেখে দেননি!’’ চলতি বছরের লোকসভা ভোটে হেরেছেন মহারাষ্ট্রের প্রয়াত বিজেপি নেতা গোপীনাথ মুন্ডের কন্যা পঙ্কজা। কিন্তু রাজ্য-রাজনীতিতে এখনও জমি হারাননি। তাই মহারাষ্ট্রে দলের অন্যতম ওবিসি ‘মুখ’ হিসাবে পঙ্কজাকে গুরুত্ব দিয়েই দেখে এসেছে সে রাজ্যের পদ্মশিবির। সেই আবহে এ বার খোদ মোদী-যোগীর স্লোগানে ‘না’ বিজেপি নেত্রীর।

Advertisement

উল্লেখ্য, মাস দুয়েক আগে আগরায় একটি সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সাম্প্রদায়িক ঐক্যের উপর জোর দিয়ে বলেন, ‘‘বাটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে (বিভাজন মানে ধ্বংস)।’’ মনে করিয়ে দেন সেই প্রাচীন প্রবাদবাক্য, ‘একতায় উত্থান, বিভেদে পতন!’ যোগীর ওই স্লোগানের পরেই বিরোধী মহলে শুরু হয়েছে কটাক্ষ। কারণ, এক সময় ‘বাঁটে তো কাটে’ ছিল সমাজবাদী পার্টির নির্বাচনী স্লোগান! ২০২২ সালেও ভোটমুখী উত্তরপ্রদেশে ঠিক এর উল্টো পথে হেঁটেছিলেন যোগী। বলেছিলেন, ‘‘এ হল আশি-বিশের ভোট।’’ ইঙ্গিতটা ছিল উত্তরপ্রদেশে সংখ্যালঘু ২০ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার দিকে। চলতি বছরে লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার পরে অবশ্য সে সুর বদলেছে। বিভাজনের বদলে ঐক্যের রাজনীতির হয়ে গলা চড়িয়েছেন বিজেপি নেতারা। দিনকয়েক আগে মহারাষ্ট্রে একটি প্রচারসভায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বলেন, ‘‘এক হ্যায় তো সেফ হ্যায়।’’ অনেকের মতে, যোগীর ‘বাঁটেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’র রেশ টেনেই নয়া স্লোগান মোদীর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement