অবৈধ অভিবাসীদের খোঁজে লাগাতার পুলিশি অভিযান চলছে মহারাষ্ট্রে। — ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসদমন শাখা (এটিএস)-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরও ন’জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী। এই নিয়ে ডিসেম্বর মাসে ৪৩ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল মহারাষ্ট্র পুলিশের এটিএস। এ বিষয়ে ১৯টি পৃথক মামলা রুজু হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বার করতে সম্প্রতি মুম্বই, ঠাণে, নাসিক-সহ মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার পুলিশ জানায়, গত চার দিন ধরে মুম্বই, ছত্রপতি শম্ভাজিনগর (ঔরঙ্গাবাদ), নাসিক এবং নান্দেডে অভিযান চালানো হয়েছে। ওই অভিযানেই ৯ জন বাংলাদেশি ধরা পড়েন। ধৃতদের মধ্যে এক মহিলাও রয়েছেন। ভারতে থাকার মতো কোনও বৈধ নথি দেখাতে না পারার কারণে তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতেরা জাল নথির সাহায্যে আধার কার্ড তৈরি করিয়েছিলেন বলে অভিযোগ।
মহারাষ্ট্রের মতো দিল্লিতেও সম্প্রতি একাধিক অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী ধরা পড়েছেন। তাঁরাও জাল নথিপত্র ব্যবহার করে এ দেশে থাকছিলেন বলে অভিযোগ। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের জন্য নথি জাল করে দেওয়ার একটি চক্রও সক্রিয় রয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। লাগাতার ধরপাকড় চলছে সেখানেও। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে আটক হওয়া ২৫ জনেরও বেশি বাংলাদেশিকে সে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দিল্লিতে অবৈধ অভিবাসী রয়েছেন কি না, তা খুঁজে বার করতে সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করে দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সচিবালয়। এর পর থেকেই পুলিশের তৎপরতা শুরু হয়ে যায় দিল্লি জুড়ে। দিল্লির কোথায় কত বাংলাদেশি অবৈধ ভাবে বসবাস শুরু করেছেন, তার জন্য বিশেষ পুলিশি অভিযান চলে। দিল্লির বিভিন্ন প্রান্তে চিরুনিতল্লাশি শুরু করে পুলিশ। স্থানীয় থানাগুলির পুলিশকর্মী এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়। বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে সেই দল। কোথাও কোনও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন কি না, সে বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দিল্লিতে প্রায় ১৭৫ জন বাংলাদেশিকে অবৈধ অভিবাসী সন্দেহে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।