এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বর্ষবরণের রাতে সপরিবার আনন্দ করার জন্য আগরা থেকে এসেছিলেন লখনউ। উঠেছিলেন একটি হোটেলে। সেখানেই পরিবারের এক সদস্যের হাতে খুন হলেন বাকি পাঁচ জন। মঙ্গলবার রাতে হোটেলঘরে চার বোন এবং মাকে মেরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন ২৪ বছরের যুবক। পুলিশ সূত্রে খবর, নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করার পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী কারণে তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন, সেটাও জানিয়েছেন তদন্তকারীদের।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম আরশাদ। আগরার বাসিন্দা ওই যুবক মা এবং চার বোনকে নিয়ে মঙ্গলবার, বর্ষশেষের রাতে লখনউয়ের নাকা এলাকায় একটি হোটেলে উঠেছিলেন। রাতে খাওয়াদাওয়ার সময় পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন করেন আরশাদ। অনুমান করা হচ্ছে, সম্ভবত খাবারে বিষ মিশিয়ে পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলেছেন আরশাদ।
জানা গিয়েছে, যুবকের মায়ের নাম আসমা। এ ছাড়া চার বোন— নয় বছরের আলিয়া, ১৯ বছরের আলিশা, ১৬ বছরের আকসা এবং ১৮ বছরের রেহমিনকে হোটেলের ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচটি দেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে পরিবারের পাঁচ জনকে খুন করেছেন যুবক। সেন্ট্রাল লখনউয়ের ডিসিপি রবীনা ত্যাগী বলেন, ‘‘হোটেলের মধ্যে এক যুবক তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে যুবককে গ্রেফতার করেছে। বুধবার ফরেন্সিক দল আসছে ওই হোটেলে। নমুনা সংগ্রহ করা হবে। কী ভাবে খুন হয়েছেন পাঁচ জন, তার তদন্ত চলছে।’’