বাঁ দিক থেকে, রাহুল গান্ধী, শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে। — ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটের মনোনয়ন পর্ব শেষ হল মঙ্গলবার। আর অন্তিম প্রহরে ‘ইন্ডিয়া’র তিন শরিক— কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি) এবং শরদ পওয়ারের এনসিপি (এসপি)-র মধ্যে চূড়ান্ত হল আসনরফা। তিন দলের জোট মহাবিকাশ আঘাড়ীর দুই শরিক, কংগ্রেস এই উদ্ধবসেনার মধ্যে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টানাপড়েন চললেও শেষ পর্যন্ত তার সমাধান হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের ২৮৮টি বিধানসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেস ১০২, উদ্ধবসেনা ৯৬ এবং এনসিপি(এসপি) ৮৬টি আসনে লড়বে। বাকি চারটি আসনের মধ্যে সমাজবাদী পার্টি এবং কৃষক সংগঠন পিডব্লিউপি-কে দু’টি করে ছাড়া হবে। এ ছাড়া, বড় তিন শরিক চাইলে নিজেদের কোটা থেকে অন্য ছোট দলগুলিকে আসন ছাড়তে পারে। মহাবিকাশ আঘাড়ীর তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে আসন চিহ্নিতকরণের কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে কংগ্রেস এবং উদ্ধবসেনা, দু’দলই ইতিমধ্যে প্রার্থী দিয়েছে। সেগুলি থেকে কোনও এক দল প্রার্থী প্রত্যাহার করবে।
তবে কংগ্রেসের একটি সূত্র জানাচ্ছে, মঙ্গলবার এআইসিসির পর্যবেক্ষক রমেশ চেন্নিথলার সঙ্গে উদ্ধবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউতের বৈঠকের পরেও মুম্বইয়ের ভারসোভা, বায়কুল্লা এবং ওয়াডালার আসন নিয়ে জট কাটেনি। ওই তিন আসনে উদ্ধবসেনা ইতিমধ্যেই প্রার্থী ঘোষণা করেছে। কংগ্রেসের তরফে ওই তিনি আসনের বদলে তাদের ভাগের বোরিবলী এবং মুলুন্ড আসন ছাড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাতে সমঝোতা না হলে ওই তিন আসনে দু’দলের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ হতে পারে।
আগামী ২০ নভেম্বরে এক দফায় মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট হবে। গণনা ২৩ নভেম্বর। মূল লড়াই বিজেপি-শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাজুটি’ এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। সূত্রের খবর, শরদের পরামর্শ মেনে লোকসভা ভোটে ‘পারফরম্যান্সের’ আনুপাতিক হিসাব করেই এই রফাসূত্র তৈরি হয়েছে মহাবিকাশ আঘাড়ীতে। মহারাষ্ট্রের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে এ বার ৩০টিতে জিতেছিল মহাবিকাশ আঘাড়ী। কংগ্রেস ১৭টিতে লড়ে ১৩, উদ্ধবসেনা ২১টিতে লড়ে ৯টি এবং এনসিপি(শরদ) ১০টি লড়ে আটটিতে জয় পায়। ভোটের পরে সাংলি কেন্দ্রে জয়ী নির্দল সাংসদ কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।