গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আগাম ভোটে নতুন নজির গড়ল আমেরিকা। রবিবার থেকে শুরু হওয়া আগাম ভোটপর্বে সে দেশের প্রায় তিন কোটি ২৫ লক্ষ ভোটদাতা গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগামীদের দাবি, এর ফলে সুবিধা পাবেন তাঁরাই।
আগামী ৫ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন হলেও ৪০টি প্রদেশে শনিবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ব্যালট সংগ্রহ করে আগাম ভোটপর্ব। প্রথম দিনেই ভোট দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রায় এক কোটি ৪০ লক্ষ নাগরিক। প্রসঙ্গত, আমেরিকার ৫০টি প্রদেশের প্রতিটিতেই নিজস্ব ভোটিং পদ্ধতি রয়েছে। পোস্টের মাধ্যমে ব্যালট সংগ্রহ এবং পোলিং স্টেশনে সশরীরে গিয়ে আগাম নির্বাচনের দিন ভোটদানের ব্যবস্থা রয়েছে বিভিন্ন প্রদেশে। কোনও কোনও প্রদেশে এক সঙ্গে তিনটি পদ্ধতিই প্রচলিত।
অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে দেখা গিয়েছে, আগাম ভোটের ক্ষেত্রে রিপাবলিকান প্রার্থীরাই সাধারণত এগিয়ে থাকেন। এ বারও আগাম ভোটে ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের তুলনায় ট্রাম্পের পাল্লা ভারী বলেই বিভিন্ন জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন সংক্রান্ত পরিসংখ্যান রিপোর্ট বলছে, ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রতি সাত জন ভোটারের একজন আগাম ভোট দিয়েছিলেন। এ বার সেই হার আরও বেড়েছে।
গত দু’মাসে প্রকাশিত অধিকাংশ জনমত সমীক্ষায় রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প তাঁর ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন। কিন্তু শেষবেলায় বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, দু’জনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ চাকরিজীবী আমেরিকার ভোটারদের নজরে রেখেই ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ে সুর চড়িয়েছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিয়ম বলছে, যে প্রদেশে যিনি পপুলার ভোটে (সাধারণ নাগরিকদের ভোট) জিতবেন, তিনিই সেই প্রদেশের সব ক’টি আসন (ইলেক্টোরাল ভোট) পাবেন। ৫৩৮টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে ২৭০টি ভোট পেতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে ‘দোদুল্যমান’ সাতটি প্রদেশ (সুইং স্টেট বলে যেগুলি পরিচিত) জয়-পরাজয় নির্ধারণে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।