সরকার এবং বিরোধীদের গন্ডগোলের জেরে আবার মুলতুবি সংসদ। ফাইল চিত্র।
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের পঞ্চম দিনেও কার্যত কোনও কাজই হল না সংসদে। ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে জালিয়াতির অভিযোগে তদন্তের দাবি এবং লন্ডনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্য ঘিরে সরকার এবং বিরোধী পক্ষের গন্ডগোলের জেরে সোমবার পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেল সংসদ।
এরই মধ্যে সোমবার কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা ফের ‘কণ্ঠরোধের’ অভিযোগ তুলেছেন সরকারের বিরুদ্ধে। রাহুলকে বলতে দেওয়ার দাবিতে লোকসভায় কংগ্রেস সাংসদেরা সরব হওয়ার পরেই ২০ মিনিটের জন্য মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জন্য লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকেই নিশানা করেছে কংগ্রেস। দলের টুইটার অ্যাকাউন্টে লেখা হয়েছে, ‘‘স্লোগান উঠল, রাহুলজিকে কথা বলতে দাও। তাঁকে কথা বলতে দাও। তার পর ওম বিড়লা হাসলেন এবং অধিবেশন নীরব হয়ে গেল। এটাই কি গণতন্ত্র?’’
যদিও সরকার পক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই এমনটা ঘটেছে। প্রসঙ্গত, লন্ডনে রাহুল গান্ধীর মাইক-মন্তব্য ঘিরেই সংসদে ঝড় তুলেছে বিজেপি। এরই মধ্যে কংগ্রেসের লোকসভার নেতা অধীর চৌধুরীও বৃহস্পতিবার একই অভিযোগ তুলেছিলেন। স্পিকারকে চিঠি লিখে তিনি অভিযোগ করেন, ৩ দিন ধরে তাঁর জন্য নির্ধারিত আসনের মাইকটি বন্ধ রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসে ব্রিটেন সফরের সময় একটি আলোচনা সভায় কথা বলতে গিয়ে রাহুল দেখেন মাইক খারাপ। তিনি তখন বলেছিলেন, ‘‘ভারতীয় সংসদে কিন্তু মাইক খারাপ হয়নি। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিতর্কের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে।’’ বিদেশের মাটিতে তাঁর এই বক্তব্যকে ‘দেশের অপমান’ বলে চিহ্নিত করেছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার সংসদে এসে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘আমি দেশবিরোধী কোনও মন্তব্য করেনি।’’ সুযোগ পেলে সংসদের অন্দরে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কে অংশ নেওয়ার কথাও জানান তিনি। কিন্তু বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, ক্ষমা না চাইলে লোকসভায় রাহুলকে কথা বলতে দেওয়া হবে না!