Kisan Long March

দাবি মানার প্রতিশ্রুতি দিল মহারাষ্ট্র সরকার, ‘লং মার্চে’ বিরতি সিপিএমের কৃষক সংগঠনের

কৃষিঋণ মকুব, ভূমিহীন আদিবাসীদের জঙ্গলের জমির পাট্টা, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, সেচের সুবিধা এবং কৃষকদের পেনশনের দাবিতে ১৮০ কিলোমিটার মিছিল করে নাসিক থেকে মুম্বই যাচ্ছিলেন প্রায় ২০ হাজার কৃষক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩ ১৩:৩৭
Share:

মহারাষ্ট্রে স্থগিত ‘কিসান লং মার্চ’। — ফাইল চিত্র।

মহারাষ্ট্র সরকার দাবি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়ায় মুম্বই থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে বাসিন্দে ‘লং মার্চ’ থামালেন কৃষক এবং জনজাতি গোষ্ঠীর আন্দোলনকারীরা। তবে সিপিএমের কৃষক সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া কিসান সভা’ (এআইকেএস)-র পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে দ্রুত দাবি পূরণের জন্য পদক্ষেপ করা না হলে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানীর অন্দরে শুরু হবে বিক্ষোভ।

Advertisement

সিপিএম বিধায়ক বিনোদ নিকোলে বলেন, ‘‘আমরা লং মার্চ আপাতত স্থগিত করেছি। কিন্তু সরকারের তরফে আমাদের দাবি পূরণের জন্য সদিচ্ছা এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চাই। না হলে আমরা মুম্বই যাব।’’ প্রাক্তন বিধায়ক তথা আন্দোলনকারী কৃষক নেতা জবা গাভিট বলেন, ‘‘কৃষকদের প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজে ৬০০ টাকা সহায়ক মূল্য, দিনে ১২ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং কৃষিঋণ পুরোপুরি মকুব করার দাবি আমাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।’’

প্রসঙ্গত, ভূমিহীন আদিবাসীদের জঙ্গলের জমির পাট্টা, ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, সেচের সুবিধা এবং কৃষকদের পেনশন-সহ ১৭ দফা দাবির ভিত্তিতে গত সোমবার নাসিক থেকে ‘কিসান লং মার্চ’ শুরু হয়। এখন তাতে শামিল হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার কৃষক। এই দাবিগুলি সামনে রেখে ২০১৮ সালে পায়ে হেঁটে নাসিক থেকে মুম্বই পৌঁছে গিয়েছিলেন ৫০ হাজারেরও বেশি কৃষক। দেশের ‘অন্নদাতা’দের সেই মিছিলকে সমর্থন করে পাশে দাঁড়িয়েছিল মহারাষ্ট্রের নাগরিক সমাজ। বিরোধীরাও সেই ‘লং মার্চ’-কে সমর্থন করেছিল।

Advertisement

প্রবল চাপের মুখে সে বার কৃষকদের দাবি মেনে ছ’মাসের মধ্যে তা পূরণ করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস। ঘটনাচক্রে, তিনি এখন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে। সিপিএমের কৃষক সভার অভিযোগ, ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও বিজেপি জোটের রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি। বস্তুত, ২০১৯ সালেও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগে মিছিল করেছিলেন তাঁরা। পরবর্তী সময়ে মোদী সরকারের বিতর্কিত ৩ কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে মহারাষ্ট্রে আন্দোলনও সংগঠিত করেন।

এ বার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে দ্রুত আন্দোলন থামাতে তৎপর হয়েছিলেন। কৃষক এবং জনজাতি সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৃহস্পতিবারের বৈঠক করেন তিনি। সেখানে ছিলেন ফডণবীসও। তাঁদের আবেদনে সাড়া দিয়েই দাবি পূরণের সময় দিলেন সিপিএমের কৃষক নেতারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement