ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল। শনিবার গুরুগ্রামে। পিটিআই
শুক্রবার বিকেলের দিকে দিল্লি লাগোয়া গুরুগ্রামের সাইবার হাব এলাকার আকাশে দেখা গিয়েছিল তাদের। শনিবার বেলা তখন সাড়ে এগারোটা। গুরুগ্রামের আকাশ কালো করে উড়ে এল পঙ্গপালের ঝাঁক। আতঙ্কে অনেকেই ঘরের জানলা-দরজা বন্ধ করে রাখেন। অনেকে পঙ্গপালের ঝাঁকের ছবি দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তা নিয়ে রাজধানীতে চর্চা শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই দক্ষিণ দিল্লির বেশ কিছু এলাকায় ধেয়ে এল আরও একটি ঝাঁক। ছবি তোলা, জানলা-দরজা বন্ধ রাখা, থালা-বাসন বাজিয়ে পঙ্গপাল তাড়ানোর চেষ্টা— সবই চলল এক সঙ্গে। বিমানবন্দরে জারি হল সতর্কতাও। যদিও উদ্ভিদখেকো এই পতঙ্গের ঝাঁকের উপদ্রবে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি বাতাসে গতি ভিন্ন হওয়ায়। পঙ্গপালের ঝাঁকটি পরে গুরুগ্রাম, দিল্লি ছেড়ে পাড়ি দেয় হরিয়ানার পলওয়ালের দিকে।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের অধীনে পঙ্গপাল সতর্কীকরণ বিভাগের পদস্থ কর্তা মহেন্দ্র লাল গুজ্জর আজ জানান, শুক্রবার রাজস্থানের ঝুনঝুনুর কাছে পঙ্গপালের একটি ঝাঁককে দেখতে পেয়ে সক্রিয় হয় সেখানকার কন্ট্রোল টিমটি। কীটনাশক ছড়িয়ে বহু পঙ্গপালকে মারাও হয়। বাকি দলটি তখন হরিয়ানার রেওয়ারির দিকে উড়ে যায়। পথে তারা তিনটি অংশে ভাগ হয়ে যায়। একটি যায় গুরুগ্রামের দিকে, একটি হরিয়ানার ফরিদাবাদের দিকে এবং শেষ দলটি যায় দিল্লির দ্বারকা অভিমুখে। সকাল হতেই সেই ঝাঁকটিকে বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছে এ দিন। দিল্লিমুখী ঝাঁকটি পলওয়ালের দিকে চলে গেলেও দলটি ফের দিল্লির দিকে আসতে পারে বলে আশঙ্কা সরকারি কর্তাদের।
মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও হরিয়ানায় পঙ্গপালের হানায় ফসল নষ্ট হয়েছে। এ দিন জরুরি বৈঠকে বসেন দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। রাজধানীতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দমকল দফতরকে সঙ্গে নিয়ে পঙ্গপালের ঝাঁক নিকেশ করতে কীটনাশক ছড়ানো হবে। পঙ্গপাল রাতে গাছে বিশ্রাম করে। তাই রাতেই কীটনাশক ছড়িয়ে পঙ্গপাল মারার কাজ চালানো হবে।