সংসদে এলেন রাহুল গান্ধী। সোমবার দুপুরে লোকসভা অধিবেশন চলাকালীন তাঁকে বসে থাকতে দেখা গেল সংসদের নিম্নকক্ষে নিজের আসনে। রাহুলকে সংসদের মূল ফটকের সামনে স্বাগত জানান অধীর চৌধুরী-সহ কংগ্রেস সাংসদেরা। ছবি: টুইটার।
সংসদে রাহুল গান্ধী। সোমবার দুপুরে। ছবি : টুইটার।
সংসদের অধিবেশনে যোগ দিলেন রাহুল গান্ধী। তবে তার আগে তাঁকে দেখা গেল সংসদের কংগ্রেসের ঘরে মা সনিয়া গান্ধীর পাশে বসতে। কংগ্রেসের সংসদীয় দলের প্রধান সনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করছিলেন মণিপুর থেকে আসা নেতারা। সেখানেই রাহুলকে দেখা যায় সনিয়ার পাশের আসনে বসতে। তাঁর অন্য পাশে বসেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। পরে দুপুর ২টোয় লোকসভার অধিবেশন শুরু হলে রাহুল সেখানে যান।
পরে মা সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সংসদ চত্বরে রাহুলকে দেখা যায় এম করুণানিধির ছবিতে শ্রদ্ধা জানাতে। সোমবার ছিল ডিএমকে প্রতিষ্ঠাতা করুণানিধির মৃত্যু বার্ষিকীর। রাহুলের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র দক্ষিণ ভারতের শরিকেরাও।
রাহুলের সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার আনন্দে উৎসব সংসদ এবং ১০ জনপথে। ছবি: পিটিআই।
সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগ দিলেন কেরলের ওয়েনারের সাংসদ রাহুল গান্ধী। তবে তাঁর সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার আনন্দে উৎসব শুরু হয়েছে কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে। বাহুবলীর পোস্টারে রাহুলের ছবি নিয়ে পথে নেমেছেন তাঁরা। অন্য দিকে ১০ জনপথে শুরু হয়েছে অকাল দীপাবলি উদযাপন।
সংসদে মণিপুর নিয়ে বিক্ষোভ বিরোধীদের। ছবি: সংগৃহীত।
রাহুলকে নিয়ে সংসদের একাংশে উৎসবের পরিবেশের মধ্যেই মুলতবি হয়ে গেল সংসদের দুই কক্ষ— লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। সংসদে এখন বাদল অধিবেশন চলছে। দুই কক্ষেই বিরোধী সাংসদেরা বিক্ষোভ দেখান।রাজ্যসভায় মণিপুর নিয়ে আলোচনার জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধীরা। যার জেরে সোমবার দুপুর ২টো পর্যন্ত মূলতবি করে দেওয়া হয় লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন।
রাহুলকে নিয়ে সংসদে প্রবেশ করলেন মা সনিয়া গান্ধী। আগেই সংসদে পৌঁছেছিলেন তিনি। রাহুল আসার পর তাঁকে আবার দেখা গেল সংসদের লনে। তত ক্ষণে রাহুল এসে পৌঁছে গিয়েছেন সংসদ ভবনে। তাঁকে নিয়েই আবার ভিতরে ঢুকলেন সনিয়া।
সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পর রাহুলের টুইটার বায়ো। ছবি : টুইটার।
উপরের ছবিটি মার্চ মাসে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার দিন কয়েক পরের। নিজের বিষয়ে বিবরণে রাহুল লিখেছিলেন ডিসকোয়ালিফায়েড এমপি। অর্থাৎ পদ খারিজ হওয়া সাংসদ। নীচের ছবিটি সোমবার দুপুরের। ১২টার কিছু পরেই বদলে গেল রাহুলের টুইটারের ‘পরিচয় ক্ষেত্র’। রাহুল আবার সেখানে ‘মেম্বার অফ পার্লামেন্ট’ অর্থাৎ সাংসদ।
সোমবার দুপুরের পর রাহুলের নতুন টুইটারের বায়ো। ছবি : টুইটার।
সংসদ ভবনের বাইরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে মালা দিয়ে প্রণাম জানালেন রাহুল গান্ধী। তার পর প্রবেশ করলেন সংসদে। রাহুলকে ঘিরে দেখা গেল সাংসদদের ভিড়। পুরনো সংসদ ভবনের দোতলার বারান্দাতেও দেখা গেল ভিড় উপচে পড়েছে রাহুলকে দেখার জন্য।
গত ২৪ মার্চ তাঁর লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। ১৩৬ দিন পর সংসদে ফিরলেন কেরলের ওয়েনাড়ের লোকসভা সাংসদ রাহুল গান্ধী। সোমবার সকালেই তাঁর সাংসদ পদ ফেরানোর ঘোষণা করা হয়েছে লোকসভার স্পিকারের সচিবালয়ের তরফে। কংগ্রেসের তরফে তার পর জানানো হয়েছিল সোমবার দুপুর ১২টার সময়েই সংসদে আসবেন রাহুল। রাহুল অবশ্য ১২টা বাজার মিনিট দশেক আগেই সংসদে পৌঁছে যান। তাঁর পরনে ছিল সাদা রঙের শার্ট এবং কালো ট্রাউজার্স।
রাহুল গান্ধী সংসদে এসে পৌঁছনোর অনেক আগে থেকেই সংসদের গেটের সামনে তাঁকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি চলছিল। অধীর চৌধুরী, পি চিদম্বরমের মতো নেতা-সহ ‘ইন্ডিয়া’-র শরিকরাও উপস্থিত ছিলেন সংসদ ভবনের গাড়ি বারান্দার সামনে।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার পরেই সংসদে এলেন মা সনিয়া গান্ধী। রায়বরেলির সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ার পার্সন সনিয়ার মুখে দেখা গেল স্বস্তির হাসি। সংসদে ঢোকার মুখে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছিলেন সাংসদেরা। হাসিমুখেই সেই শুভেচ্ছা গ্রহণও করলেন সাংসদ।
দিল্লির ১০ জনপথে সনিয়া গান্ধীর বাসভবনের সামনেও ঢোল - নাকাড়া নিয়ে নেমে পড়েন কংগ্রেস সমর্থকেরা। আনন্দে নাচতে দেখা যায় তাঁদের।
একটা গোটা মিষ্টি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের মুখে ঢুকিয়ে দিলেন অধীর চৌধুরী। সেই মিষ্টি মুখে নিয়ে কিছু ক্ষণ থমকে গিয়ে বিপর্যস্ত দশা হল খাড়্গের। কিন্তু পর ক্ষণেই দেখা গেল প্লেট থেকে মিষ্টি নিয়ে বাকিদের খাওয়াতে পাশেই বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মুখেই প্রথম মিষ্টি তুলে দিলেন খাড়্গে। লোকসভায় বিরোধীজদের জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদেরও দেখা গেল মিষ্টিমুখ করতে। সংসদে বিরোধীদের কক্ষে এ ভাবেই উৎসবের মেজাজে মাতলেন বিরোধীরা।