(বাঁ দিকে) এই অ্যাম্বুল্যান্সেই মদ পাচার করা হচ্ছিল। ধৃত পাচারকারী (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ১৯৫ লিটার মদ উদ্ধার করল বিহার পুলিশ। গোপন সূত্রে পুলিশ আগেই খবর পেয়েছিল সারণ জেলায় অ্যাম্বুল্যান্সে মদ পাচার হচ্ছে। সেই খবর পেয়েই নজরদারি চালাতে শুরু করে মাঁঝি থানা এলাকার পুলিশ। তখনই একটি অ্যাম্বুল্যান্স থেকে বিপুল পরিমাণ মদ উদ্ধার হয়।
অ্যাম্বুল্যান্সটিকে দেখতে পেয়েই সেটিকে দাঁড় করায় পুলিশ। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, অ্যাম্বুল্যান্সের দরজা খুলতেই দেখা যায়, মাথায়, পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা এক যুবক শুয়ে রয়েছেন। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। ফলে প্রথম দেখাতে কারও পক্ষেই বোঝা সম্ভব ছিল না যে, আসলে রোগী সাজিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে করে মদ পাচার করা হচ্ছে!
বিহারে এমনিতেই মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু তার পরেও রাজ্যের নানা প্রান্তে বেআইনি মদের কারবারের অভিযোগ উঠেছে বহু বার। শুধু তাই-ই নয়, মদ পাচারের বিষয়টিও মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যে আসছে। পুলিশের চোখে ধুলো দিতে মদ পাচারকারীরা নানা রকম অভিনব কৌশল বার করছেন। সম্প্রতি অ্যাম্বুল্যান্সে মদ পাচারের ঘটনাটি রাজ্যে বেড়েছে বলে পুলিশের কাছে খবর আসছিল। একেই নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। বেআইনি মদের কারবার এবং পাচার আটকাতে জেলায় জেলায় সক্রিয়ও হয়েছে পুলিশ।
তার মধ্যেই শুক্রবার সারণের মাঁঝি থানায় খবর আসে, অ্যাম্বুল্যান্সে মদ পাচার হচ্ছে। সেই খবর পেয়েই তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। তখনই পাচারকারীরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। মদের বোতলগুলি এমন ভাবে লুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল যে, কোনও ভাবেই তা ধরা সম্ভব ছিল না। কিন্তু পুলিশ স্ক্যানার যন্ত্র নিয়ে এসে তল্লাশি শুরু করতেই অ্যাম্বুল্যান্সের আসনের নীচ থেকে ১৯৫ লিটার মদ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহারে নিয়ে আসা হয়েছিল ওই মদ।