(বাঁ দিকে) বাবা সিদ্দিকি এবং জ়িশান সিদ্দিকি (ডান দিকে)। —ফাইল ছবি।
বাবা সিদ্দিকি হত্যাকাণ্ডে কি অন্তর্ঘাতের ছায়া? সমাজমাধ্যমে বিধায়ক-পুত্র জ়িশান সিদ্দিকির একটি পোস্ট ঘিরে এই জল্পনার সূত্রপাত হয়েছে। শনিবার বিকেলে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন জ়িশান। সেখানে তিনি লেখেন, “ভীতু ব্যক্তি সাহসী লোককে ভয় পাওয়াতে চায়। কিন্তু শিয়াল সিংহকে ছলনার দ্বারা হত্যা করে।” অনেকেই মনে করছেন, আপাত রূপকের আড়ালে জ়িশান ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন যে, তাঁর বাবার মৃত্যুর নেপথ্যে অন্তর্ঘাত ছিল।
বান্দ্রায় জ়িশানের দফতরের সামনেই গত ১২ অক্টোবর গুলি করে খুন করা হয় বাবাকে। মহারাষ্ট্রের এনসিপি নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ন’জনকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনকেই ধরা হয়েছে শুক্রবার। রায়গড়ের পানভেল এবং কারজাট এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ জনকে ধরেছে পুলিশ। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে শনিবার সিদ্দিকির নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শনিবার সকালেই জ়িশান সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘যারা লুকিয়ে থাকে, তারা সকলে ঘুমিয়ে থাকে না। যারা প্রকাশ্যে থাকে, তারা সকলে কথা বলে না।” বিকেলে আবার ওই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেন তিনি। জ়িশানের পর পর দু’টি রূপকধর্মী পোস্ট করাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সিদ্দিকির হত্যার নেপথ্যে জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইয়ের গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে দাবি করেছে মুম্বই পুলিশ। ভাড়াটে খুনিদের নিয়োগ করা হয়েছিল এই কাজে। তিন জনের মধ্যে দু’জন আততায়ীকে ঘটনার পরেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরও সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সিদ্দিকি খুনের পর জ়িশান সুবিচারের দাবি জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনও ভাবেই যাতে রাজনীতি না করা হয়, তার জন্য অনুরোধও করেছিলেন। তাঁর বাবার মৃত্যু যাতে বিফলে না যায়, দোষীরা যাতে উপযুক্ত শাস্তি পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে, বার্তা দিয়েছিলেন জ়িশান। শুক্রবার তিনি উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই তাঁকে মুম্বই পুলিশের তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বিশদে জানানো হয়।