—প্রতীকী ছবি।
জীবন বিমার টার্ম পলিসি ও স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম থেকে পণ্য ও পরিষেবা কর (গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স বা জিএসটি) প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছে মন্ত্রিগোষ্ঠী। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে রাজস্বের উপর প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অন্যান্য বেশি কিছু সামগ্রীর জিএসটিতে বদল আনার ব্যাপারে আলোচনা করেছেন মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যরা। যার জেরে বহু পণ্যের দাম বাড়তে ও কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শনিবার, ১৯ অক্টোবর বৈঠক করেন জিএসটি পরিষদ গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠীর সদস্যরা। সূত্রের খবর, সেখানে ২৫ হাজারের বেশি মূল্যের হাতঘড়ির করের পরিমাণ বাড়িয়ে ২৮ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে যা রয়েছে ১৮ শতাংশ। এ ছাড়া ১৫ হাজার টাকার চেয়ে দামি জুতোয় জিএসটি ২৮ শতাংশ করতে বলা হয়েছে। এতেও এখন ১৮ শতাংশ কর নেওয়া হয়।
অন্য দিকে ২০ লিটার জারবন্দি জল ও ১০ হাজার টাকার কম দামি বাইসাইকেলে জিএসটি কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে। এই দু’টি পণ্যে এখন যথাক্রমে ১৮ ও ১২ শতাংশ কর নিয়ে থাকে সরকার। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, এই সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর হলে বছরে বাড়তি ২২ হাজার কোটি টাকা কর আদায় হবে। সে ক্ষেত্রে বিমায় কর মকুবের লোকসান পুষিয়ে বাড়তি টাকা জমা পড়বে সরকারি কোষাগারে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে ক্যান্সারের ওষুধ ও স্ন্যাকসের উপর থেকে কর কমানোর সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অক্টোবরের শেষে মন্ত্রিগোষ্ঠীর রিপোর্ট জমা পড়ার কথা রয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখে এই পণ্যগুলির দাম কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জিএসটি পরিষদ।