Anmol Bishnoi

লরেন্স বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোল গ্রেফতার আমেরিকায়! দেশে ফেরাতে তৎপর মুম্বই পুলিশ

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুন এবং বলিউড তারকা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বিশ্নোই গ্যাংয়ের। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুই ঘটনাই ঘটেছিল আনমোলের নির্দেশে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:২৭
Share:

(বাঁ দিকে) লরেন্স বিশ্নোই এবং আনমোল বিশ্নোই (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

লরেন্স বিশ্নোইয়ের ছোট ভাই আনমোল বিশ্নোই ওরফে ভানু গ্রেফতার আমেরিকায়। সূত্রের খবর, ক্যালিফোর্নিয়ায় তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, চলতি মাসের শুরুতেই আমেরিকায় লরেন্সের ভাইয়ের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগেই আনমোলকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল মুম্বই পুলিশ।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুন এবং বলিউড তারকা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল বিশ্নোই গ্যাংয়ের। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুই ঘটনাই ঘটেছিল আনমোলের নির্দেশে। তিনিই বিদেশে বসে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার পরই পরিকল্পনা হয়েছিল সলমন-ঘনিষ্ঠদের খুন করার। সেই তালিকায় প্রথম নামই ছিল এনসিপি নেতা সিদ্দিকির।

সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চলার ঘটনা-সহ মোট ১৮টি মামলায় অভিযোগ রয়েছে আনমোলের বিরুদ্ধে। ২০২২ সালের মে মাসে পঞ্জাবি সঙ্গীতশিল্পী সিধু মুসেওয়ালার হত্যাতেও তাঁর যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়। মুসেওয়ালার উপর হামলায় যাঁরা অভিযুক্ত তাঁদের অস্ত্রের জোগান দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে লরেন্সের ভাইয়ের বিরুদ্ধে। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় নাম রয়েছে আনমোলের। সম্প্রতি, এনআইএ ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।

Advertisement

লরেন্স ২০১৫ সাল থেকে গুজরাতের সবরমতী জেলে বন্দি রয়েছেন। তাঁর হয়ে বিশ্নোই গ্যাংয়ের বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্ম আনমোলই পরিচালনা করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁকে দেশে ফেরানোর অনুমতি চেয়ে গত মাসেই মুম্বইয়ের এক নিম্ন আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পুলিশ। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভাবে সলমনের বাড়ির সামনে গুলি চলার ঘটনার কথাও আদালতে উল্লেখ করেছিল পুলিশ। ওই ঘটনার তদন্ত শুরুর পর থেকে আনমোলের কোনও খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ। তাঁকে পলাতক হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সম্প্রতি আমেরিকা থেকে এ বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য এসেছিল মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার হাতে। তার পরই তদন্তকারীরা তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হয়।

সম্প্রতি বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনার তদন্তে উঠে আসে আনমোলের নাম। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ঘটনায় যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে বিদেশ থেকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন আনমোল। ‘স্ন্যাপচ্যাটে’ তার প্রমাণও মিলেছে। সূত্রের খবর, ভাড়া করা আততায়ীদের সিদ্দিকি ও তাঁর পুত্র জ়িশানের ছবিও পাঠিয়েছিলেন আনমোল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement