ফাইল চিত্র
“নরেন্দ্রভাই, রাখি পাঠাতে পারলাম না!” রাখি পাঠাতে না-পারলেও রাখিবন্ধনের সকালে লতা মঙ্গেশকর তাঁর নরেন্দ্রভাইয়ের কাছে একটা প্রতিশ্রুতি চাইলেন। প্রধানমন্ত্রীকে প্রবাদপ্রতিম গায়িকার বার্তা, “দেশের জন্য আপনি এত কাজ করেছেন যে, দেশবাসী কোনও দিন ভুলতে পারবেন না। কথা দিন, দেশকে আপনি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।”
‘লতাদিদি’-র বার্তা পেয়ে নরেন্দ্র মোদী তাঁকে বলেছেন, “আপনার এই আবেগপূর্ণ বার্তা অসীম প্রেরণা ও শক্তি দেয়। কোটি কোটি মা-বোনেদের আশীর্বাদে আমাদের দেশ প্রতি দিন নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে।”
শুধু ‘লতাদিদি’ নন। প্রধানমন্ত্রীকে আজ টুইটারে সকলের আগে রাখিবন্ধনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আধ্যাত্মিক গুরু মাতা অমৃতানন্দময়ী। তাঁর মতে, শ্রীকৃষ্ণ যেমন গোবর্ধন আঙুলে তুলে দুর্যোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীও অতিমারির সময় সে কাজ করছেন। তার পরে একে একে পি টি উষা, অঞ্জু ববি জর্জ, সাইনা নেহওয়াল, পি ভি সিন্ধু, মেরি কম, কর্ণম মালেশ্বরী, হিমা দাস, দ্যুতি চাঁদ, রাণি রামপাল, মণিকা বাত্রার মতো ক্রীড়াবিদরাও প্রধানমন্ত্রীকে রাখির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। আর এক বোন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা রাখির দিনে জানিয়েছেন, তিনি তাঁর দাদার থেকেই ভালবাসা, সত্য, ধৈর্য শিখেছেন। সকালে রাহুল গাঁধী কংগ্রেসের ব্যানারের সামনেই তাঁর সঙ্গে প্রিয়ঙ্কার আলিঙ্গনের ছবি টুইট করেছিলেন। প্রিয়ঙ্কা জানিয়েছেন, “এমন দাদা পেয়ে আমি গর্বিত।”
বাংলার রাজনীতিতে যাঁর রাখির শুভেচ্ছা নিয়ে সব থেকে বেশি আলোচনা, তাঁর নাম মুকুল রায়। এদিন তিনি রাখির ছবি-সহ টুইট করে শুভেচ্ছা জানাতেই বিজেপি ও তৃণমূল শিবিরে জল্পনা শুরু হয়, মুকুল তাঁর কোন বোন বা দিদিকে রাখির শুভেচ্ছা জানালেন? মুকুলবাবু অবশ্য নির্দিষ্ট কাউকে শুভেচ্ছা জানাননি। রাজনীতি মানেই যে অসীম সম্ভাবনার সমাহার!
আরও পড়ুন: ভারত দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে, খোঁচা রাহুলের