প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। ফাইল চিত্র।
চলে এসেছিল নির্ধারিত সময়ের আগেই। এ বার মৌসম ভবন পূর্বাভাস দিল, বর্ষার দাপট আরও বাড়তে চলেছে দেশের ২৩টি রাজ্যে। উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ, সিকিম, অসম, মেঘালয় এবং অরুণাচল প্রদেশে আগামী তিন দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ধস এবং বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উত্তরাখণ্ডে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টা বৃষ্টি হলেও তার পর থেকে হিমাচলে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা।
বর্ষার আগাম আবির্ভাব এবং প্রাবল্যের জন্য কৃষি ও পর্যটনে এর দু’রকম প্রভাবের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবহবিদদের একাংশের মতে, এই বর্ষা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের কৃষি-ক্যালেন্ডার খানিকটা বিপর্যস্ত করে দিতে পারে। এবং তার প্রভাব পড়তে পারে বাংলাতেও। কারণ উত্তর ভারতে বেশি বর্ষা হওয়ায় টান পড়তে পারে বাংলার বৃষ্টিতে। জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডের পর্যটনেও আঘাত হানতে পারে বর্ষার এই অস্বাভাবিক আগমন।
স্বাভাবিক ছন্দে চললে দিল্লিতে বর্ষা ঢোকার কথা ১ জুলাই। তার দু’সপ্তাহ বর্ষা পৌঁছনোর কথা উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর এবং রাজস্থানে। মৌসুমি বায়ু ১ জুন কেরলে ঢুকলে তা জম্মু-কাশ্মীরে পৌঁছয় দেড় মাস পরে। কিন্তু এ বার কেরল থেকে কাশ্মীর এই দীর্ঘ যাত্রা তিন সপ্তাহে শেষ করে ফেলেছে বর্ষা। জম্মু ও কাশ্মীরের কিছু এলাকা, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ এবং গত সপ্তাহ থেকে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তিন পাহাড়ি রাজ্যে জীবনযাত্রা পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে।
গত কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত। দিল্লি থেকে শুরু করে হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ডে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কোথাও কোথাও। টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন রাস্তাঘাট এবং বিদ্যুতের সমস্যায় ব্যাহত হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। কোথাও রাস্তায় উপড়ে পড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। হড়পা বান এবং মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে বহু এলাকা। ভেঙেছে সেতু। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী দুর্যোগ কবলিত মানুষদের উদ্ধার করে ত্রাণশিবিরের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দিয়েছেন। অনেক বাড়িঘর এবং চাষের ক্ষেত বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।