মঙ্গলবারও থমথমে লখিমপুর খেরি। ছবি— পিটিআই।
ইন্টারনেট সংযোগ ছিল না লখিমপুর খেরিতে। সেই রবিবার থেকে। মঙ্গলবার বিকেলে ফের চালু হল ইন্টারনেট। পুলিশ প্রশাসনের দাবি, পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। যদিও লখিমপুরের ঘটনা এখনও উষ্ণতা ছড়াচ্ছে দেশে। মঙ্গলবারই উত্তরপ্রদেশের দুই আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা জমা দেন। তাঁদের আর্জি, সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে সিবিআই তদন্ত হোক। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার কাছে তাঁদের আবেদন, তিনি যেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে অভিযুক্ত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন।
গাড়ির চাকায় পিষে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর দু’দিন কেটে গেলেও এখনও থমথমে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরি। মঙ্গলবারই লখিমপুরে ঢুকে মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সাংসদরা। যদিও পুলিশি বাধার অভিযোগ করেছেন দোলা সেন, সুস্মিতা দেব, কাকলি ঘোষদস্তিদার।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে সীতাপুরে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। দীর্ঘ ক্ষণ গ্রেফতারির খবর স্বীকার করতে চায়নি পুলিশ। প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর তাঁকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ দিকে প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দেখা করতে এসে লখনউ বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর সময় সমস্যায় পড়েন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তাঁকে যোগীর পুলিশ বেরোতে দেয়নি বলে অভিযোগ। প্রিয়ঙ্কা এই প্রসঙ্গে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। তাঁর প্রশ্ন, লখিমপুর খেরির পীড়িত পরিবারগুলোর সঙ্গে কেন দেখা করছেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী?
অন্য দিকে, রবিবার মারা যাওয়া তিন জনের দেহ মঙ্গলবার সৎকার করেছেন তাঁদের পরিজনেরা। অন্য এক মৃত কৃষকের পরিবার এখনও ময়নাতদন্তের দাবিতে অটল। কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত দাবি তুলেছেন, দিল্লির হাসপাতালে মৃত কৃষকের দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত করতে হবে।
রবিবার জখম এক আন্দোলনকারী কৃষক জানিয়েছেন, ঘটনার দিন জিপের স্টিয়ারিং-এ ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্র। যদিও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র বার বার দাবি করেছেন, ঘটনার সময় তাঁর ছেলে আশিস সেখানে ছিলেন না।
সব মিলিয়ে লখিমপুর খেরি নিয়ে মঙ্গলবারও উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি।