কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনি। গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।
১২ বছর। তার মধ্যেই জেলা পঞ্চায়েত কার্যালয় থেকে নর্থ ব্লকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অজয় মিশ্র টেনির রাজনৈতিক উত্থানের সঙ্গে উল্কাগতির তুলনা হতে পারে। এ হেন অজয় এ বার নতুন বিতর্কের কেন্দ্রে। লখিমপুর খেরির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় এবং তাঁর ছেলে আশিসের।
শুরু থেকেই বিতর্কিত এই কৃষক পুত্র। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় কুস্তির দঙ্গল আয়োজন করায় অজয়ের নামডাক ছিল। তাঁর নাম জড়ায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজেও। ১৮ বছর আগে তেকোনিয়ায় ২৪ বছরের প্রভাত গুপ্ত নামে এক ব্যক্তির খুনের ঘটনায় নাম জড়ায় অজয়ের। সেই মামলায় হাজিরা দিতে গিয়ে ভরা আদালতের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন অজয়। পরে অবশ্য আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হন। অভিযোগ থেকে মুক্তিও পান।
এ হেন অজয়ের রাজনীতিতে হাতেখড়ি ২০০৯ সালের জেলা পঞ্চায়েত ভোটে। তার পর থেকে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে অজয়ের উত্থান দেখে চোখ কপালে যোগীরাজ্যের তাবড় নেতা মন্ত্রীদেরও। ২০১২ সালে নিঘাসন আসন থেকে প্রথম বার বিধায়ক নির্বাচিত হন। এর পর ‘জনপ্রিয়তা’ পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে বাহুবলি অজয়ের। ২০১৪ সালে খেরি লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন। বহুজন সমাজ পার্টির প্রার্থীকে হারিয়ে সে বার জয় আসে ১ লক্ষ ১০ হাজার ভোটে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রথম বারের ব্যবধানও টপকে যান অজয়। এ বার সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে হারিয়ে জয় আসে ২ লক্ষ ভোটে।
অজয়ের দুই ছেলে এবং এক মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁর ছেলে আশিসও বাবার সঙ্গে বিজেপি করেন। এই আশিসের বিরুদ্ধেই উঠছে কৃষকদের পিষে মারার অভিযোগ।
সম্প্রতি মোদী সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে জায়গা পান খেরির দু’বারের সাংসদ অজয়। তাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছেন অজয়। সম্প্রতি কৃষকদের আন্দোলন নিয়েও হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।