কৃষকদের পিষে দিচ্ছে গাড়ি ছবি: টুইটার থেকে।
রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর গাড়ি চালিয়ে চার জনকে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্রর বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করেন অজয়। সোমবার রাতে এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে কংগ্রেস। সেখানে দেখা যাচ্ছে কৃষকদের পিষে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কনভয়ের গাড়ি।
কংগ্রেসের তরফে টুইট করা ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার উপরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বেশ কয়েক জন। হঠাৎ একটি জিপ এসে তাঁদের ধাক্কা মারে। গাড়ির ধাক্কায় সাদা জামা ও সবুজ পাগড়ি পরা এক ব্যক্তি জিপের বনেটে গিয়ে পড়েন। আরও কয়েক জন প্রাণ বাঁচাতে রাস্তার পাশে ঝাঁপ দেন। জিপ বেরিয়ে যাওয়ার পরে তার ঠিক পিছনে আরও একটি গাড়ি চলে যায়। তার পরেই দেখা যায় রাস্তার উপরে বেশ কয়েক জন পড়ে রয়েছেন। তাঁদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন অন্যরা। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি।
রবিবারের এই ঘটনার পরে আশিস-সহ কয়েক জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। হাই কোর্টের এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যোগী সরকার। যদিও সংঘর্ষের ঘটনায় তাঁর ছেলে যুক্ত নয় বলেই দাবি করেছেন মন্ত্রী। অজয় বলেন, ‘‘আমার ছেলে ঘটনার সময় সেখানে ছিল না। ওর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই মিথ্যা।’’ তাঁর আরও দাবি, দুর্ঘটনায় মৃত আট জনের মধ্যে রয়েছেন তাঁর গাড়ির চালক এবং বিজেপি-র তিন কর্মী। এই চার জনকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অজয় বলেন, ‘‘আমার চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। দুষ্কৃতীরা পাথর ছুড়লে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারায় এবং দুই কৃষক গাড়ির নীচে চাপা পড়েন। এর পর তিন বিজেপি কর্মী এবং চালককে পিটিয়ে মারা হয় এবং গাড়িতে আগুন লাগানো হয়।’’
ইতিমধ্যেই লখিমপুর ও লখনউয়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, আবিররঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেব লখিমপুরে গিয়েছেন। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব লখিমপুর যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের আটক করে পুলিশ।