মণিপুরে দু’ নম্বর জাতীয় সড়কে চলা অনির্দিষ্টকালের অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহার করে নিল কুকিরা। —ফাইল চিত্র।
মণিপুরে দু’ নম্বর জাতীয় সড়কে চলা অনির্দিষ্টকালের অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহার করে নিল কুকিরা। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমঝোতার প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত। সাইবাল এলাকায় সিআরপি-র ১১২ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানদের মোতায়েন করার দাবি সরকার মেনে নিয়েছে। কমিটি অন ট্রাইবাল ইউনিটি জানায়, অন্য সব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারেও সায় জানিয়েছেন সরকারি কর্তারা। সে জন্য তাঁরা ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। কমিটির তরফে হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই সময়সীমার মধ্যে অন্য বাহিনীকে সরানো না হলে তাঁরা আরও শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলবেন। ওই সড়কে অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহৃত হওয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা অস্থিরতার আপাতত অবসান হয়েছে।
গত এক সপ্তাহে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ৪২টি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে। সঙ্গে মেলে প্রচুর পরিমাণে কার্তুজ। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে পশ্চিম ইম্ফল, চান্দেল, থাউবাল, কাঙপকপি ও চূড়াচাঁদপুর জেলায় তল্লাশি চালায় এরা। সোমবার পশ্চিম ইম্ফল জেলায় আসাম রাইফেলস, সিআরপি এবং মণিপুর পুলিশ যৌথ ভাবে মাঠে নেমে উদ্ধার করে একটি কার্বাইন মেশিন গান, দুটি পিস্তল, তিনটি একনলা বন্দুক উদ্ধার হয়। পরের দিন চান্দেল জেলায় পাওয়া যায় একটি এম-১৬ রাইফেল সাতটি আইইডি সহ বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র-গুলিবারুদ। চূড়াচাঁদপুর জেলায় যৌথ বাহিনী একটি এসএলআর রাইফেল, দুটি স্বয়ংক্রিয় পিস্তল, গ্রেনেড বাজেয়াপ্ত করে। সাঙ্গইকোট মহকুমার জঙ্গলে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের তালিকাও কম দীর্ঘ নয়। তাতে রয়েছে একটি এসএলআর, দুটি পিস্তল এবং তিনটি একনলা বন্দুক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অন্যান্য অভিযানে আরও বাজেয়াপ্ত হয়েছে একটি কার্বাইন মেশিন গান, চারটি একনলা বন্দুক, সাতটি পিস্তল, দুটি সিঙ্গল বোল্ট অ্যাকশন রাইফেল, একটি ইম্প্রোভাইজ়ড লং রেঞ্জ মর্টার প্রভৃতি।
এ দিকে, ইলন মাস্ক অস্বীকার করলেও মণিপুরে স্টারলিঙ্ক ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে চর্চা অব্যাহত রয়েছে। এক বিদেশি সংবাদমাধ্যমের দাবি, হিংসা যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সরকার সব ধরনের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখলে জঙ্গিরা স্টারলিঙ্ক ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখে, অশান্তি ছড়ায়। সংবাদমাধ্যমটির দাবি, মেইতেই জঙ্গি সংগঠন পিএলএ-র এর সূত্রে তারা জানতে পেরেছেন, মায়ানমারে তারা স্টারলিঙ্কই ব্যবহার করে। সরকারের ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার সময়ে মণিপুরের বিভিন্ন এলাকায় তারা ওই ইন্টারনেটেই সংযোগ গড়ে তুলেছিল। স্টারলিঙ্কের কর্ণধার মাস্ক দাবি করেন, ভারতের উপরে স্টারলিঙ্কের উপগ্রহগুলি বন্ধ করা আছে।