গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোই। —ফাইল চিত্র।
গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোইকে খুন করার জন্য এ বার জেলের বন্দিদের বার্তা দিল করণী সেনা। তাঁদের জন্যেও ঘোষণা করা হল ‘পুরষ্কার’। এর আগে করণী সেনা জানিয়েছিল, যে পুলিশ আধিকারিকেরা বিশ্নোইকে হত্যা করতে পারবেন, তাঁদের ১ কোটি ১১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ টাকা দেওয়া হবে। এ বার একই পুরষ্কারমূল্য ঘোষণা করা হল জেলের বন্দিদের জন্যেও। মূলত রাজপুত প্রভাবিত উগ্র সংগঠন হিসাবে পরিচিত ‘ক্ষত্রিয় করণী সেনা’র সর্বভারতীয় সভাপতি রাজ শেখাওয়াত জানিয়েছেন, জেলের ভিতরে বিশ্নোইকে হত্যা করতে পারলেই এই পুরষ্কার মিলবে।
নতুন বার্তায় রাজ বলেছেন, ‘‘আমি যে ১ কোটি ১১ লক্ষ ১১ হাজার ১১১ টাকার পুরষ্কার ঘোষণা করেছিলাম, তা ছিল সেই সমস্ত পুলিশ আধিকারিকের জন্য, যাঁরা বিশ্নোইকে এনকাউন্টারে হত্যা করতে পারবেন। এ বার আমাদের ঘোষণা, যদি কোনও সবরমতি জেলে বন্দি আসামি, কোনও যোদ্ধা বিশ্নোইকে মারতে পারেন, করণী সেনা তাঁকেও ওই পরিমাণ টাকা পুরস্কার হিসাবে দেবে।’’
উল্লেখ্য, গুজরাতের সবরমতি জেলে এই মুহূর্তে বন্দি বিশ্নোই। মাদক পাচারের মামলায় তাঁকে বন্দি করা হয়েছে। এর আগে মুম্বইয়ে বলিউড অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনাতেও বিশ্নোই ছিলেন মূল অভিযুক্ত। যদিও সে সময় তাঁকে হেফাজতে পায়নি পুলিশ। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে বিশ্নোই গোষ্ঠীর। বিশ্নোইয়ের ভাই আনমোল সিদ্দিকি খুনে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। তিনি এখন বিদেশে। ২০২২ সালের মে মাসে খুন হন পঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসে ওয়ালা। সেই হত্যাকাণ্ডেও নাম জড়িয়েছিল বিশ্নোই গোষ্ঠীর।
সম্প্রতি ক্ষত্রিয় করণী সেনার তরফে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করা হয়, সংগঠনের নেতা সুখদেব সিংহ গোগামেড়ীকে খুনে অভিযুক্ত বিশ্নোই (যদিও এই পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর রাজস্থানের জয়পুরে অজ্ঞাতপরিচয় আততায়ীদের গুলিতে প্রাণ হারান করণী সেনার ওই নেতা। এই হত্যাকাণ্ডের কিছু সময় পরেই বিশ্নোই গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করে। সিদ্দিকি খুনের আবহে বিশ্নোই গোষ্ঠী যখন নতুন করে শিরোনামে, তখন বিশ্নোইকে খুন করার জন্য আবার পুরস্কারমূল্য ঘোষণা করল করণী সেনা।